ডায়ালসিলেট ডেস্ক::

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

বিদেশে পালিয়ে থাকা পিকে হালদারের সঙ্গে অর্থ আত্মসাতে জড়িত ৮৩ জনের সংশ্লিষ্টতার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এটি দাখিল করে।

জালিয়াতির মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের মোট অর্থের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আত্মসাৎ করা পিকে হালদার গংদের নাম-পরিচয় উঠছে হাইকোর্টে।

যেখানে পিকে হালদারসহ ৮৩ জনের নাম রয়েছে বলে জানিয়েছে বিএফআইইউ। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ, শীর্ষ ব্যবস্থাপনা, অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগ, চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার ও ক্রেডিট ডিভিশনের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ২ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। আত্মসাৎ করা অর্থ আবার নামে-বেনামে পাচার হয়েছে ভারত, কানাডা ও সিঙ্গাপুরে। পিকে হালদার গংদের এ তথ্য হাইকোর্টে উপস্থাপনের জন্য রাষ্ট্রপক্ষকে দিয়েছে বিএফআইইউ।

এ তথ্য সংবলিত প্রতিবেদন ২০ জানুয়ারি আদালতের সামনে উপস্থাপন করা হবে বলে শনিবার সংশ্লিষ্ট কোর্টের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক নিশ্চিত করেছেন। এর আগে দেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা ‘আত্মসাতের’ ঘটনায় পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদারসহ ২৫ ব্যক্তির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

৫ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদেশ দেন। তারপর তাদের তালিকা বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে।

৮ জানুয়ারি ইন্টারপোল পিকে হালদারকে গ্রেফতারে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয় বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

তিনি বলেন, ১৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট হাইকোর্টে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করেছে। যেখানে তারা উল্লেখ করেছেন, পিকে হালদার-কাণ্ডে ৮৩ জনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তাদের সব অ্যাকাউন্ট এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই রিপোর্টের মাধ্যমে পিকে হালদারের অর্থ পাচারের একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র উঠে এসেছে। যেখানে উঠে এসেছে বিপুল পরিমাণ অর্থ তিনি পাচার করেছেন। পাচার করা অর্থ কানাডা, সিঙ্গাপুর ও ভারতে পাঠানো হয়েছে।

এরও আগে ৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একই বেঞ্চে পিকে হালদারের দেশে ফেরত আসতে কোনো ধরনের গ্রেফতার না করার নির্দেশনা চেয়ে একটি আবেদন করে তার প্রতিষ্ঠান আইএলএফএসএল। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত জানিয়েছিলেন পিকে হালদার কবে, কখন, কীভাবে দেশে ফিরতে চান তা আইএলএফএসএল লিখিতভাবে জানালে সে বিষয়ে পরবর্তী আদেশ দেয়া হবে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *