বেটার হেল্থ ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের মডেল ফার্মেসি ও মডেল মেডিসিন শপ কার্যক্রম

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা ::::

শ্রীমঙ্গল উপজেলার ফার্মেসী মালিকদের উদ্দেশ্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধ বিক্রি করবেন না। আজ ০৫ নভেম্বর সকাল ১১.০০ টায় শ্রীমঙ্গল ইন হোটেলে “বাংলাদেশ মডেল ফার্মেসী ও মডেল মেডিসিন শপের প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাবনা” শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।


ব্রিটিশ সরকারের অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সোসাইটি ও ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস ফর হেল্থ এর সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিসিডিএস মৌলভীবাজার শাখা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় পরিচালক এমদাদুল হক মছনুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা সিভিল সার্জন তৌহিদ আহমেদ; ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: সালাউদ্দিন; মৌলভীবাজার জেলার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সালমা সিদ্দিকা; বিসিডিএস মৌলভীবাজার শাখা সেক্রেটারি জনাব সৈয়দ এ. রউফ মানিক ও বিসিডিএস শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখা সভাপতি অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক।

প্রধান অতিথির নিরাপদ এবং সঠিকভাবে সেবা প্রদানের বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করে বলেন, ফার্মেসীতে সেবা প্রদানে অবশ্যই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষকর্মী রাখাতে হবে। তিনি জানান, মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে ঔষধ প্রশাসন প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি মডেল ফার্মেসি ও উপজেলায় মডেল মেডিসিন শপ প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে।

উল্লেখ্য, মডেল ফার্মেসি হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো মডেল ফার্মেসিতে একজন বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট থাকবেন, যার দায়িত্বে থাকবে পুরো ফার্মেসিটি। ফার্মেসির আয়তন হবে ন্যূনতম ৩০০ বর্গফুট এবং থাকবে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। ওষুধ বিক্রয়ের সঙ্গে রোগীকে ওষুধ সেবনের পদ্ধতি বলে দেওয়া এবং নিয়মিত সঠিকভাবে ওষুধ গ্রহণ করার জন্য কাউন্সিলিং করা।

মডেল মেডিসিন শপ মূলত বাংলাদেশের সর্বত্র সঠিক ওষুধসেবা নিশ্চিত করার জন্যে মডেল ফার্মেসি থেকে কিছুটা শিথিল শর্ত নিয়ে তৈরি। মডেল মেডিসিন শপের আয়তন নির্ধারণ করা হয়েছে ন্যূনতম ১২০ বর্গফুট। গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টের অপ্রতুলতার কারণে গ্রেড বি (ডিপ্লোমা) ফার্মাসিস্ট বা ন্যূনতম গ্রেড সি ফার্মাসিস্ট থাকতে হবে। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদের কিছু স্বল্পমূল্যের প্রস্তুতি রাখতে হবে; যেমন, সিলিং ফ্যান ও একজস্ট ফ্যান। ওষুধ বিক্রয়ের সঙ্গে রোগীকে ওষুধ সেবনের পদ্ধতি বলে দেওয়া এবং নিয়মিত সঠিকভাবে ওষুধ গ্রহণ করার জন্য কাউন্সিলিং করা।

সার্বিকভাবে মডেল ফার্মেসি আর মডেল মেডিসিন শপের পরিচালনার নিয়মকানুন নিয়ে একটি স্ট্যান্ডার্ডও তৈরি করা হয়, যা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটিতে উত্থাপিত হয় এবং অনুমোদিত হয়। বর্তমানে, বেটার হেল্থ ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের কারিগরি সহযোগীতায় ফার্মাসিস্টদের মডেল ফার্মেসি এবং মডেল মেডিসিন শপের উপর মোট ১১টি জেলায় যেখানে ২৩টি উপজেলার মোট ৫০৫৯ জন ফার্মাসিস্টবৃন্দ প্রশিক্ষন নিয়েছেন। প্রশিক্ষণ পরবর্তীতে তাদের ফার্মেসিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন এনে মডেল ফার্মেসি এবং মডেল মেডিসিন শপে উন্নীত করার কার্যক্রম চলছে।

গতকাল মৌলভীবাজারে অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট বিহীন কোন ফার্মেসি থাকবেনা। মৌলভীবাজার জেলার ফার্মেসী মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা ইনভয়েস ছাড়া কেনাকাটা করবেন না। কোনভাবেই আপনারা রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি করবেননা এবং পুরো ডোজ ছাড়া দিবেননা। একটা কথা মনে রাখবেন, ফিজিসিয়ান স্যাম্পল বিক্রির জন্য নয়। আর মেয়াদউত্তীর্ণ ঔষধের পরিবর্তে যদি কোন কোম্পানি ফিজিসিয়ান স্যাম্পল দেয় সেসব কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা বেটার হেলথ ইন বাংলাদেশের সহযোগিতায় আপনাদের জন্য সফটওয়্যার তৈরী করেছি, আশা করছি সবাই উপকৃত হবেন। তিনি মৌলভীবাজারে ৫৯ টি ফার্মেসিকে মডেল মেডিসিন শপ হিসেবে এক্রিডিয়েশন সনদ প্রদান করেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *