ডায়ালসিলেট ডেস্ক::

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটে পুলিশকে হেয় করতে ফেসবুকে ভিডিও ভাইরাল করায় ভুয়া পুলিশসহ ৫জন গ্রেফতার হয়েছে।শুক্রবার দুপুরে চুনারুঘাট থানা পুলিশ গ্রেফতারকৃতদেরকে আদালতে প্রেরণ করেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতভর বিভিন্ন সময়ে উপজেলার নানা এলাকায় চুনারুঘাট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ ৫ জনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন সিএনজি অটোরিকশা চালক চুনারুঘাট উপজেলার পনারগাঁও গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে শাহিন মিয়া (২৫), শহীদুল ইসলামের ছেলে হারুন মিয়া (২০), মৃত আব্দুল মন্নানের ছেলে মুক্তার জামান (২০) মনিরুল ইসলাম (২০) ও নোয়াগাঁও গ্রামের তুরাব আলীর ছেলে কামরুল হাসান (২৪)।

পুলিশ জানায়, পুলিশকে হেয় করে ৩১ জানুয়ারি সাজানো একটি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করা হয়। পরে কামরুল হাসান নামীয় আইডি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে পুনরায় আপলোড করা হয় একই ভিডিও। যা দেশ বিদেশে ৮০ লক্ষাধিক লোক দেখেছেন। এতে পুলিশ সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, কথিত পুলিশ সিএনজি অটোরিকশা চালককে আটক করে তল্লাশি করছে। তল্লাশির সময় চালক পুলিশকে নিয়ে নানা কটুক্তি করে কথা বলে, যা পুলিশ বাহিনীকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয়।

সাধারণ মানুষ ওই ঘটনার ভিডিওটি সত্যি মনে করে লাইক ও কমেন্ট করেন। ভিডিওটি এতো প্রচার হয়েছে যা পুলিশকে খারাপভাবে উপস্থাপন করেছে। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতনদের নজরে পড়ে।

এরপর হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যার তত্ত্বাবধানে বিষয়টি নিয়ে নিবিড় তদন্তে নামে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট। অবশেষে সিএনজি অটোরিকশা চালক শাহিনকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়।

চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আশরাফ বলেন, ওই ভিডিওটি ফেসবুকে আপলোডের কারণে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনসহ দেশের পুলিশ বিভাগের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়লে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পুলিশ তদন্ত করে বিষয়টি ভুয়া বলে প্রমাণ পায়। এ ঘটনায় পুলিশকে ব্যঙ্গ করে ভিডিও বানানোর অভিযোগে চুনারুঘাট থানার এসআই ভূপেন্দ্র চন্দ্র সূত্রধর বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।

ওসি বলেন, মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ শুক্রবার ভোরে চুনারুঘাটের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। বিকেলে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

আটককৃতরা সাংবাদিকদের বলেন, মজা করে বন্ধুরা মিলে ভিডিও করে ফেসবুকে আপলোড করেন। এ বিষয়টি যে অপরাধ সেটা, তাদের জানা ছিল না।এখন মজা করতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *