ডায়াল সিলেট ডেস্ক: বড়লেখায় একটি গ্রামীণ রাস্তার মাটি ভরাটের টি.আর বরাদ্দ দুই কিস্তিতে উত্তোলন করেও রাস্তায় কোনো কাজ না করায় অবশেষে বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রকল্পের সভাপতি সেই ইউপি সদস্য আবুল হোসেনকে প্রধান আসামী করে মামলা হয়েছে। সোমবার দুপুরে মামলাটি করেছেন প্রকল্প কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য তানবীর আহমদ।
মামলায় প্রকল্প কমিটির সদস্য জায়েদ আহমদ, মহিলা সদস্য আকলিমা বেগম ও আনছার ভিডিপি সদস্য জয়নুল ইসলামকেও আসামী করা হয়েছে।
আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই পুলিশ সুপার মৌলভীবাজারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ২৭ জুন দৈনিক জালালাবাদের শেষ পৃষ্ঠায় ‘ভোগান্তিতে এলাকাবাসী-বড়লেখায় বরাদ্দ উত্তোলন করেও রাস্তার কাজ করেননি ইউপি সদস্য’ শিরোনামে একটি সংবাদ ছাপা হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বর্নি ইউপির ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল হোসেন ও তার সহযোগীরা ‘পশ্চিম বর্নি রাতখাল ব্রিজ হতে বারহাল জামে মসজিদ’ পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাটে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ৫০ হাজার টাকা দুই কিস্তিতে গত ৭ মে ও ২৪ মে উত্তোলন করেন। ইউপি সদস্য আবুল হোসেন নিজে সভাপতি ও স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা (মামলার বাদী) তানবীর আহমদকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের প্রকল্প কমিটি জমা দেন। কমিটি কাগজে সদস্য সচিবের জাল স্বাক্ষর দিয়ে দুই কিস্তিতে ইউপি সদস্য আবুল হোসেন বরাদ্দের পুরো টাকা উত্তোলন করে রাস্তায় কোনো কাজ করাননি। প্রকল্প কমিটিতে জাল স্বাক্ষর প্রদান ও বরাদ্দ উত্তোলন করেও কাজ না করার ব্যাপারে জানতে চাইলে গত বৃহস্পতিবার ইউপি সদস্য ও তার সহযোগিরা সদস্য সচিব তানবীর আহমদকে অশ্লীল গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দেয়। এমনকি ইউপি সদস্য আবুল হোসেন মামলা দিয়ে তাকে জেল খাটানোর ভয়ভীতি দেখান।
বাদীপক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট সুব্রত কুমার দত্ত জানান, শুনানী শেষে আদালত আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই পুলিশ সুপার মৌলভীবাজারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *