ডায়াল সিলেট ডেস্ক : মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুরে গত কয়েকদিনে ৮টি পারিবারিক পূজা অর্চনার মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুধু মন্দির নয়, দিনদুপুরে বাজারের মসজিদ থেকে ব্যাটারি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!এদিকে একের পর এক চুরির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, চোর ধরতে পুলিশের কোনো তৎপরতা নেই। যার কারণে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে। তবে পুলিশের দাবি, তারা চোর ধরতে তৎপর রয়েছেন।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (২৩ জুন) দিবাগত রাত থেকে শনিবার (২৪ জুন) ভোর রাতের মধ্যে উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাবনিয়া গ্রামের বিভাষ দাস (৪৫), সজল কান্তি দাস (৫৩), বিপ্লব দাস (৪৯), অশোক দাস (৪০) ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাজপুর (কুমারপাড়া) গ্রামের দিলীপ রুদ্র পালের (৫৬) পারিবারিক পূজা অর্চনার মন্দিরে চোর রাতের কোনো এক সময় তালা ভেঙে পিতলের মূর্তিসহ পূজা অর্চনার আসবাবপত্র নিয়ে যায়। ৫টি পরিবারের প্রায় ১ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী লোকজন বড়লেখা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অপরদিকে, গত বুধবার (১৪ জুন) দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ভোরাতের মধ্যে আতুয়া এলাকায় কালাচন্দ চন্দ, দিপঙ্কর চন্দ ও ইন্দ্রজিত চন্দের পারিবারিক পূজা অর্চনার মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ২০ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় কালাচন্দ চন্দ বড়লেখা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু প্রায় ১০ দিনেও কোনো চোর ধরা পড়েনি।
অন্যদিকে, গত সোমবার (১৯ জুন) শাহবাজপুর বাজারের মসজিদে বিকেল ৪টার দিকে ঢুকে চোর ব্যাটারি চুরি করে নিয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী আতুয়া এলাকার বাসিন্দা কালাচন্দ চন্দ বলেন, ‘চুরির ঘটনায় পুলিশের তৎপরতা নেই বললেই চলে। তৎপরতা থাকলে আমাদের বাড়ির চুরির পরে অন্যবাড়িতেও একই ঘটনা ঘটতো না।’ একই কথা জানিয়েছেন, স্থানীয় রাজপুর গ্রামের বাসিন্দা শোভন রুদ্র পাল।
এদিকে এলাকায় চুরি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে আরও কঠোর ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রফিক উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে শাহবাজপুরে হঠাৎ চুরি বেড়ে গেছে। কিন্তু কোনো চোর ধরা পড়ছে না। এগুলো নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় পুলিশকে আরও কঠোর হওয়া দরকার।’
তবে চোর ধরতে পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে বলে দাবি করছেন শাহবাজপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক রবিউল হক। তিনি বলেন, ‘চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার এবং চুরির সাথে জড়িতদের ধরতে তারা কাজ করছেন।’

