ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: জিবিএএইচআর মানবাধিকার সংস্থা আয়োজিত ইংল্যান্ডে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

 

২২ শে এপ্রিল ২০২৪ইং সোমবার দুপুরে লন্ডনের  অল্ডউইচ ভারতীয় হাই কমিশনের সামনে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে গ্লোবাল বাংলাদেশি ইস এয়ারলাইন্স ফর হিউম্যান রাইটস (জিবিএএইচআর) লন্ডনে কমিউনিটি ভিত্তিক ২১ টি মানবাধিকার সংগঠনের প্ল্যাটফর্ম উপস্থিত হয়।

এসময়  বিক্ষোভ চলাকালে নরেন্দ্র মোদী ও আদানির মুখোশ সম্বলিত প্রতিকৃতিতে জুতার মালা পরিয়ে বিক্ষোভকারীরা তাদের তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করেন। এলাকা জুড়ে বাংলাদেশীদের জমায়েত শুরু হয়। বেলা ২ টায় বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশীদের বিক্ষোভে গোটা এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে। সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবীতে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

বিক্ষোভে অংশগ্রহন করেন বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা। এতে সভাপতিত্ব করেন জিবিএএইচআর আহবায়ক সাপ্তাহিক সুরমা সম্পাদক শামসুল আলম লিটন।

 

 

লেখক ও কালামিষ্ট রাকেশ রহমান ও সিনিয়র ফেলো রুপম রাজ্জাকের সঞ্চালনায় বিক্ষোভে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংহতিি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বিশ্বখ্যাত আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম।

ড. শহিদুল আলম বলেন, বাংলাদেশ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ভারত ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে যে সাহায্য করেছে তাতে আজকের ভারত হটাও আন্দোলন অভাবনীয়। কিন্তু ভারত তার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সাথে বিশেষ করে বাংলাদেশের সাথে যে ব্যবহার করে আসছে তাতে ধারনা পরিষ্কার হয়ে যায়। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে যে ভাবে ভারত সাহায্য করে আসছে দিনের পরে দিন, তাতে কোন দেশের জনগনের পক্ষেই ভারতকে সম্মানের জায়গায় বসিয়ে রাখা সম্ভব নয়।

 

 

অবৈধ সরকারকে সাহায্য করার জন্য ভারত আমদের দেশের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে। বিভিন্ন অবৈধ চুক্তির বিনিময়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। নিচ্ছে বিনা পয়সায় টান্জিট চুক্তি। লক্ষ লক্ষ অবৈধ ভারতীয় কাজ করছে বাংলাদেশে।

 

 

বিনিময়ে দিচ্ছে সীমান্তে বাংলাদেশীদের লাশ। এমনকি এই স্বাধীনতা দিবসেও ভারত আমাদের দিয়েছে ২ জনের লাশ । হাসিনাকে এসব করে ভারত আমাদের বুঝিয়ে দিচ্ছে আমরা বাংলাদেশিরা ভারতের দাস।

 

আমাদের দেশের অবৈধ মন্ত্রীরা বলছে ভারতের সাথে আমাদের স্বামী , স্ত্রী সম্পর্ক। সেটা যে গৃহ নির্যাতন সেটা আমরা হাড়ে হাড়ে বুঝে গিয়েছি ।এটা পরিস্কার যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কারনে সবচেয়ে বেশি লাভবান ভারত তা বাংলাদেশিরা বুঝে গিয়েছে। ভারতীয় “র” যেভাবে বাংলাদেশকে চালাচ্ছে তা আজ বাংলাদেশিরা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না।

 

আরো বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার ব্যাক্তিত্ব পিনাকী ভট্টাচার্য।  ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের এই কর্মসুচি ধারাবাহিক থাকবে এবং ভারত যদি আমাদের সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় তাহলে অতি সত্তর বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিরপেক্ষতার উদাহরন দেখাতে হবে। না হয় আমাদের আন্দোলন শুধু ভারতীয় পণ্য বর্জন নয়, বাংলাদেশ থেকে সকল ভারতীয় স্বার্থ  উচ্ছেদ করা হবে।

 

সভাপতির বক্তব্যে শামসুল আলম লিটন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে বিপন্ন করে পুরো দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করা হচ্ছে। এর দায় সম্পূর্ণ ভাবে নরেন্দ্র মোদী আর বাংলাদেশের অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহন করতে হবে। দিল্লি যদি একটি ফ্যাসিবাদী দলের জন্য বাংলাদেশের জনগণের বিপক্ষে তার সমর্থন অব্যাহত রাখে, তাহলে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ আগামী ১শ’ বছর তার জবাব দিতে থাকবে। বন্ধুত্বের জবাব বন্ধুত্ব। শত্রুতার জবাবে বন্ধুত্ব হয়না। এই সত্য দেরী হবার আগেই দিল্লী উপলব্ধি করবে বলে আমরা আশাবাদী হতে চাই।

 

অন্যথায় ভারতীয় পণ্যের পাশাপাশি চিরদিনের দন্য বাংলাদেশকে ভারতীয় দালাল মুক্ত করা হবে। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশ পাকিস্তানকে গুডবাই দিয়েছিলো। দিল্লিকেও অচিরেই গুডবাই দেওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

 

সঞ্চালক লেখক রাকেশ রহমান বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা আর যাই হোক ভারতীয় অগ্রাসন আর মেনে নিতে পারছি না। আমরা ভারতীয় পন্য শুধু বর্জন নয়, পাশাপাশি প্রকৃত স্বাধীকারের দাবিতে বাংলাদেশের তীব্র আন্দোলন নীরবে তৈরি হচ্ছে ঘরে ঘরে।

 

বিক্ষোভে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সিনিয়র ফেলো ও সিনিয়র ড্যাটা ইন্জিনিয়ার রুপম রাজ্জাক, ব্যারিষ্টার জাকির হাসান, টিভি সাংবাদিক শেখ মুহিতুল রহমান বাবলু, নিরাপদ বাংলাদেশ চাই এর সভাপতি মুসলিম খান, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রায়হান আহমেদ, ই আর আইয়ের সহ সভাপতি মোঃ ওসমান গনি, সহ সভাপতি মোঃ রোকতা হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদ জুবায়ের আহমেদ, অর্থসম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদুল হাসান, ফাইট ফর রাইট ইন্টারন্যাশনালের সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন চৌধুরী, মহিলা নেত্রী অন্জনা আলম , তাসলিমা তাজ, জাহানারা আক্তার শিমলা, মানবাধিকার সঙগঠন ই আর আই’র সাধারণ সম্পাদক নওশিন মুস্তারি মিয়া, এ্যাডভোকেট সুফিয়া পারভীন, সাংবাদিক মিনহাজুল আলম মামুন, তোবারক হোসেন, মিশুক হোসেন ও হাসনাত আরিয়ান খান প্রমূখ।

 

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *