ডায়ালসিলেট::

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

সিলেটের বালাগঞ্জে এক কিশোরীকে (১৫) তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কিশোরীর মামা বাদী হয়ে গত ৫ অক্টোবর বালাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং-২)। মামলায় উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের নশিওরপুর গ্রামের লকুছ মিয়ার ছেলে হাসান মিয়া (২৫) ও একই গ্রামের ফজর আলীর ছেলে রাজন মিয়াকে (১৯) অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরীর পিতার মৃত্যুর পর তার মায়ের ২য় বিয়ে হয় উপজেলার নশিওরপুর গ্রামে। কিশোরী তার মামার তত্ত্বাবধানে লালিত-পালিত হচ্ছে। কিশোরীকে রাস্তাঘাটে পেলে নশিওরপুর গ্রামের হাসান প্রায়ই তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দিত। এতে কিশোরী অসম্মতি জানালে হাসান তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। গত ১ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে ওই কিশোরী মামার বাড়ি থেকে বের হয়ে তার সৎ পিতার বাড়ি নশিওরপুরের উদ্দেশে রওয়ানা হয়। বেলা পৌনে ১২টার দিকে সে উপজেলার মোরার বাজারস্থ সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ডে পৌঁছে। ওইসময় স্ট্যান্ডে থাকা হাসান কিশোরীকে নশিওরপুর পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তার অটোরিকশায় ওঠায়। এরপর নশিওরপুর এলাকায় গিয়ে অটোরিকশা বদল করে জোর করে কিশোরীকে রাজনের অটোরিকশায় উঠিয়ে সিলেট নগরের অজ্ঞাত একটি স্থানে নিয়ে যায় এবং কিশোরীকে ধর্ষণ করে।

এদিকে ওইদিন কিশোরী বাড়িতে না পৌঁছায় স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তার সন্ধান না পেয়ে এ বিষয়ে গত ৪ অক্টোবর পরিবারের পক্ষ থেকে বালাগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরদিন ৫ অক্টোবর কিশোরীর মামার বাড়ির এলাকার একজন অটোরিকশাচালক ওই কিশোরীকে দক্ষিণ সুরমার জালালপুর বাজার এলাকায় রাস্তায় একা বসে থাকতে দেখেন। তিনি ফোনে কিশোরীর মামাকে বিষয়টি অবহিত করে সেখান থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই কিশোরী সরল প্রকৃতির ও কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন।

বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে মামলায় প্রধান অভিযুক্ত হাসানকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মেয়েটির মানসিক কোনো সমস্যা আছে কি না সেটা মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে।’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *