বালিতে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জি২০ জোটের বর্তমান চেয়ারম্যান ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আসবেন। প্রেসিডেন্ট পুতিনও আমাকে বলেছেন, তিনি আসবেন।’ বিশ্বের শীর্ষ ২০ অর্থনীতির দেশের এই সম্মেলনে দুই নেতা যোগদান করবেন বলে প্রথমবারের মতো নিশ্চিত করলেন জোটের বর্তমান এই চেয়ারম্যান।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং তাইওয়ানে মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সাম্প্রতিক সফর ঘিরে সৃষ্ট উত্তেজনার মাঝে এই জোটের এটাই প্রথম সম্মেলন।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

করোনাভাইরাস মহামারির শুরুর দিকে সীমান্ত বন্ধ করে দেয় চীন। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার পর শি জিনপিংও প্রথমবারের মতো চীনের বাইরে ইন্দোনেশিয়া সফর করবেন। সেই সময়ের পর শি জিনপিং গত ১ জুলাই হংকংয়ের চীনে প্রত্যাবর্তনের ২৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে মূল ভূখণ্ড ত্যাগ করেছিলেন।
নভেম্বরে এবারের জি২০ শীর্ষ সম্মেলন বহুল প্রতীক্ষিত হতে যাচ্ছে। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এই সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সাক্ষাৎ করবেন কিনা সেটি এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে শীর্ষ সম্মেলনের আগে অথবা সম্মেলনের ফাঁকে বাইডেনের সাথে শি জিনপিংয়ের মুখোমুখি বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে বলে কিছু গণমাধ্যমের খবরে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

মানবাধিকার, বাণিজ্য এবং সম্প্রতি মার্কিন রাজনীতিবিদ ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের কারণে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের সম্পর্ক ব্যাপক তিক্ত হয়ে উঠেছে। পেলোসির সফর ঘিরে তাইওয়ানের চারপাশজুড়ে নজিরবিহীন সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। শুক্রবারও তাইওয়ান বলেছে, পেলোসির সফরের সময় শুরু করা চীনের মহড়া এখনও অব্যাহত আছে।
এই মহড়ার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে চীনের এই মহড়াকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ উল্লেখ করে তাইওয়ানে আক্রমণের প্রস্তুতি বলে বর্ণনা করেছে তাইপে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *