Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

 

সোহেল আহমদ :: ঢাকার রাজধানীতে আবারো রনক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আগামী ১০ই ডিসেম্বরের ঢাকার সমাবেশকে সামনে রেখে নয়া পল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর দলটির কার্যালয়টি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ২১ জনকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়েছে।

 

এ সময় সংঘর্ষে মকবুল হোসেন (৪০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। পরে হাসপাতালে চিকিতসাধীন অবস্থায়  ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রবিন খান মারা যান।

 

এদিকে, বিএনপি কার্যালয় থেকে বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহবায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমানসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।

 

 

তবে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। আটক হওয়ার আগে এ্যানি সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ কমিশনার আমাকে ডেকেছেন তার সঙ্গে কথা বলার জন্য। নয়াপল্টন থেকে আমি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। পরে তাকে আটকের খবর পাওয়া যায়।

 

 

 

এর আগে বুধবার সকাল থেকে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। দুপুরে নেতাকর্মীদের ভিড় শুরু হয়। এ সময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় নয়াপল্টন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

 

 

 

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ জনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন মো. আনোয়ার ইকবাল (বোরহান উদ্দিন কলেজ ছাত্রদল), মো. খোকন, মো. মনির হোসেন, মো রাশেদ (পল্টন থানা যুবদল), মো. ইয়াসির আরাফাত (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, জসীমউদ্দীন হল), মো. সুমন (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল), মো. জহির হাসান (ছাত্রদল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়), মো. শামীম (রূপনগর থানা স্বেচ্ছাসেবক দল), মো হানিফ, মো. হৃদয় (কদমতলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দল), মো. মকবুল হোসেন (কদমতলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দল), মো. ফারহান আরিফ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুজিব হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক), মো. নূরনবী (শাহবাগ থানা যুবদল), মো. সুলতান আহমেদ (শাহ আলী থানা যুবদল), মনির (শাহবাগ থানা যুবদল), মো. আমিনুল ইসলাম (শেরেবাংলা নগর থানা যুবদল), মো. আশরাফুল ইসলাম (গুলশান থানা ছাত্রদল), বিপ্লব হাওলাদার (ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল), মো. আসাদুজ্জামান (ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল), মো. মেহেদী হাসান নয়ন (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল)।

 

 

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *