ডায়ালসিলেট ডেস্ক::যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো থেকে আইসল্যান্ড যাচ্ছিলেন মিশিগানের এক শিক্ষিকা মারিসা ফোটিয়েও। বিমান যখন অর্ধেক পথে, তখন তার গলা-বুক শুকিয়ে আসছিল। তার সন্দেহ হয়। ছুটে যান বিমানের বাথরুমে। নিজেই করোনাভাইরাসের র্যাপিড টেস্ট করেন। নিশ্চিত হন যে, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। রিপোর্ট পজেটিভ। ফলে তিনি আর ওই বাথরুম থেকে বের হননি। বাকি পথ ওই বাথরুমের ভিতরেই কোয়ারেন্টিন পালন করেন। তিনি মার্কিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ওই ফ্লাইটে আরোহী ছিলেন ১৫০ জন। যখন করোনা পজেটিভ ধরা পড়লো, আমার ভয় হলো- এই ভাইরাস অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছি না তো! এরপরই তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকে একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও পোস্ট করেন। তাতে লিখেছেন, আটলান্টিক মহাসাগরের ওপরে থাকা অবস্থায় আমার করোনাভাইরাস পজেটিভ এসেছে। এরপরই তিনি আইসল্যান্ডে অবতরণ করে যাতে ভিআইপি কোয়ারেন্টিন সুবিধা পান সে জন্য যোগাযোগ করতে থাকেন। এ বিষয়ক ভিডিও তিনি প্রথম পোস্ট করেন ২১শে ডিসেম্বর। তারপর তা কমপক্ষে ৪০ লাখ বার ভিউ হয়েছে। দর্শকরা জানতে কৌতুহল প্রকাশ করেছেন যে, কিভাবে তিনি ফ্লাইটের এতটা পথ একা বাথরুমে কাটিয়েছেন। এর জবাবে মারিসা ফোটিয়েও কমেন্ট সেকশনে ব্যাখ্যা করেছেন, বিমানে উঠার আগে তিনি পিসিআর টেস্ট করিয়েছেন দু’বার। তাতে নেগেটিভ ফল এসেছে। টিকটকে ভক্তদের উদ্দেশে বলেছেন, কিন্তু বিমানে পজেটিভ ধরা পড়ায় আমি তা আমার গন্তব্যে বা লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাইনি। এখন আমি আইসল্যান্ডে কোয়ারেন্টিনে আছি। সেখানে রেকজাভিকে একটি হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থেকে তিনি ধারাবাহিকভাবে সেখান থেকেই ভিডিও পোস্ট করে যাচ্ছেন। সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, বুস্টার ডোজসহ করোনাভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ ডোজ টিকা নিয়েছেন তিনি। ভাই ও পিতার সঙ্গে তিনি সুইজারল্যান্ডে যেতে যান। কিন্তু ফ্লাইটের মধ্যভাগে তার করোনাভাইরাস পজেটিভ ধরা পড়ে। ফলে তিনি বাথরুমকে বেছে নেন।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
