ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: করোনায় আক্রান্ত বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক কামাল লোহানী আর নেই।(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!শনিবার (২০শে জুন ২০২০ইং) সকাল ১০টার দিকে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮৭ বছর। বিষয়টি তার ছেলে সাগর লোহানী বাবার মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়া ছাড়াও ফুসফুস -কিডনির জটিলতার সঙ্গে হৃদরোগ-ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন কামাল লোহিনী। এর আগে শুক্রবার (১৯ জুন) বিকাল ৫টার দিকে তাঁকে রাজধানীর মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভোরে সাড়ে ৬টায় বাবাকে লাইফ সাপোর্ট নেওয়া হয়। সোয়া ১০টায় লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়। বাবার মাল্টিপাল অরগান অফ হয়ে গিয়েছিল। প্রেশার কমে গিয়েছিল এবং কিনডি ইনঅ্যাকটিভ হয়ে গিয়েছিল।’ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়ে গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের কবরে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
এদিকে, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক,রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কামাল লোহানী নামে পরিচিত থাকলেও তাঁর আসল নাম আবু নাইম মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খান লোহানী। ১৯৩৪ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ার খান মনতলা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।কামাল লোহানীর সাংবাদিকতার শুরু হয়েছিল দৈনিক মিল্লাত দিয়ে।এরপর আজাদ,সংবাদ,পূর্বদেশ,দৈনিক বার্তায় গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন।তিনি সাংবাদিক ইউনিয়নে দুই দফা যুগ্ম সম্পাদক ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে দুই দফায় মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন কামাল লোহানী। পাঁচ বছর ছিলেন ছায়ানটের সম্পাদক। তিনি উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা পদেও ছিলেন।তিনি ২০১৫ সালে সাংবাদিকতায় একুশে পদক লাভ করেন।
১৯৬০ সালে কামাল লোহানী বিয়ে করেন। স্ত্রী দীপ্তি লোহানী বেশ কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। তাঁদের দুই মেয়ে এবং একটি ছেলে।

