Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: রাজধানীতে মহাসমাবেশে নেতাকর্মীদের আনা-নেওয়ার জন্য জামায়াতে ইসলামকে চার জোড়া ট্রেন বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে এ সিদ্ধান্তকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য’ ছড়ানো হচ্ছে। এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এতে ট্রেন পরিচালনার স্বাভাবিক নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।

 

 

শুক্রবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশেষ ট্রেনের জন্য ট্রেন পরিচালনার স্বাভাবিক নিয়মের কোনো প্রকার ব্যত্যয় ঘটেনি। অতীতে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বড় কর্মসূচি উপলক্ষ্যে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ ট্রেন পরিচালনার নজির রয়েছে। রাজনৈতিক দলের জনসমাবেশ বা অনুরূপ কর্মসূচির কারণে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট ভাড়া আদায় সাপেক্ষে বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতি প্রদান বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি নৈমিত্তিক কাজ।

 

এ ধরনের বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতি প্রদান না করলে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী নিয়মিত ট্রেনের টিকিটবিহীন যাত্রী নিয়ন্ত্রণ করা বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য অত্যন্ত কঠিন ও দুরূহ হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে যাওয়ার জন্য টিকিট করার পর্যাপ্ত সময় ও সুযোগ পান না বিধায় বিনা টিকিটে ভ্রমণের প্রবণতা বেড়ে যায়। এতে বাংলাদেশ রেলওয়ে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়।

 

 

অন্যদিকে, বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতি দেওয়ার ফলে নির্দিষ্ট ভাড়া পরিশোধ সাপেক্ষে দলের নেতাকর্মীরা ওই ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। এতে বাংলাদেশ রেলওয়ে যেমন কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় করতে সক্ষম হবে, অন্যান্য ট্রেনের সাধারণ যাত্রীরা তেমনি বাড়তি ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ পাবেন।

 

ওই চার জোড়া বিশেষ ট্রেন সাপ্তাহিক অফ-ডে থাকা নির্ধারিত রেক দ্বারা পরিচালনা করা হবে। এছাড়া শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় যাত্রীদের স্বাভাবিক চাহিদা সাধারণত কম থাকে। ফলে এসব ট্রেন পরিচালনার জন্য নিয়মিত চলাচলকারী কোনো ট্রেনের যাত্রা বিঘ্নিত হবে না। অর্থাৎ এ সকল রুটে নিয়মিত চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীদের ওপর-এর কোনো প্রভাব পড়বে না। আলোচ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ উপলক্ষ্যে তারা অন্তত ৩২ লাখ নগদ টাকায় বিশেষ ট্রেনের ভাড়া অগ্রিম পরিশোধ করেছে, যাতে করে রেলের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

রেলওয়ে সূত্র জানায়, রাজনৈতিক দলের জনসভা বা কর্মসূচির জন্য বিশেষ ট্রেন চালানো নতুন কোনো ঘটনা নয়। অতীতেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট ভাড়া পরিশোধের শর্তে বিশেষ ট্রেন চালানোর নজির রয়েছে।

 

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *