তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের নিষ্পত্তি হয়েছিল আগেই। শেষটা যতটা না ছিল আনুষ্ঠানিকতার, বাংলাদেশের জন্যে ছিল হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশন। এই পরীক্ষায় পাস করেছে বাংলাদেশ।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!চট্টগ্রামে শেষ ওয়ানডেতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ব্যবধান ৫০ রানের।
বাংলাদেশের করা ২৪৬ রানের জবাবে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ১৯৬ রানে।
এই জয় কেবল হোয়াইটওয়াশ এড়ানোই নয়, এরসঙ্গে ওয়ানডে সুপার লিগের টেবিলে গুরুত্বপূর্ণ ১০ পয়েন্ট যোগ করারও।
সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু ১৭ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে দল। মিরপুরে ব্যর্থ হওয়া লিটন দাস চট্টগ্রামেও ছিলেন একই বৃত্তে। রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। অধিনায়ক তামিম ফিরে যান ১১ রান করে।
ওই বিপর্যয় সামাল টপ অর্ডারের নাজমুল শান্ত এবং মিডল অর্ডারের মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান।
পাঁচে ব্যাট করতে নামা বাঁ-হাতি সাকিব দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন। তার ৭১ বলের ইনিংস সাজানো ছিল সাতটি চারের শটে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭০ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। তিনি ৯৩ বল খেলে ছয় চারে ওই রান করেন।
তিনে নামা নাজমুল শান্ত দ্বিতীয় ওয়ানডে ফিফটি করে ৫৩ রানে ফেরেন। বাংলাদেশ সাত বল থাকতে অলআউট হয় ২৪৬ রানে।
২৪৭ রানের জবাব দিতে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড দলের কোন ব্যাটারই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। জেমস ভিন্স সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। এছাড়া উল্লেখযোগ্য রান সংগ্রাহকদের মধ্যে আছেন ফিল সল্ট ৩৫ রান ও ক্রিস ওকস ৩৪ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার সাকিব আল হাসান। ১০ ওভারে ৩৫ রান খরচায় নেন তিনি ৪ উইকেট। এছাড়া এবাদত হোসেন ও তাইজুল ২টি করে উইকেট এবং মেহেদী হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান নেন একটি করে উইকেট।
ব্যাট-বলে দুর্দান্ত খেলা সাকিব আল হাসান হন ম্যাচ সেরা।

