ডায়াল সিলেট ডেস্ক:-
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সিলেট বিভাগের শহরগুলোতে ব্যাটারিচালিত রিকশার অযাচিত দাপট নগরজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এসব রিকশা প্রতিদিন যানজট, দুর্ঘটনা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। সকাল-বিকেলের ব্যস্ত সময়ে হঠা থেমে যাওয়া, উল্টো পথে চলাচল এবং দ্রুতগতির প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
সরেজমিনে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন সড়কে দেখা গেছে। অধিকাংশ রিকশাচালক অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর, যারা ট্রাফিক আইন জানে না। ফলে পথচারী ও যাত্রীদের জন্য ঝুঁকি বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রথমে নগরবাসী মনে করেছিলেন- ব্যাটারিচালিত রিকশা সস্তা ও পরিবেশবান্ধব বাহন হবে, কিন্তু এখন এটি নগরের জন্য এক প্রকার অভিশাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
শুধু যানজট ও দুর্ঘটনা নয়, এসব রিকশা বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে লুকোচুরি করছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ব্যাটারিগুলো যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে, যা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি তৈরি করছে।
সিলেট নগরী ও জেলাতে দিন দিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। সরকারি অনুমোদন ছাড়া হাজার হাজার রিকশা রাস্তায় নামায় নগরজীবন এক প্রকার অচল হয়ে পড়েছে। যানজট, দুর্ঘটনা এবং বিশৃঙ্খলার মূল কারণ হিসেবে সাধারণ মানুষ এ ধরনের অবৈধ যানবাহনকে দায়ী করছেন।
সিলেট নগরীতে ইদানিং ব্যাটারিচালিত রিকশার পরিমাণ বেড়ে গেছে। তারা রিকশা চার্জ দিচ্ছে। আমাদের বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে চার্জিং স্টেশন করার সুযোগ নেই।
সরেজিমনে দেখা গেছে, সিলেট নগরীর বিভিন্ন সড়কে অধিকাংশ রিকশা চালক অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর। হঠাৎ ইউটার্ন, উল্টোপথে চলাচল, হঠাৎ থেমে যাওয়া এবং দ্রুতগতিতে প্রতিযোগিতা সব মিলিয়ে প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক সালেক মিয়া বলেন, আমি সিটি কর্পোরেশন এলাকার ভোটার। আমরা পরিবার চালাতেই এই রিকশা চালাই। সরকারি অনুমোদন না থাকলেও জীবন চালাতে আমাদের এই রিকশা চালাতে হয়। সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত এলাকায় এটি অনুমোদন দিয়ে দিলে আমাদের জন্য ভালো হতো। এতে সরকার ও টাকা পেত আমাদেরও পুলিশের সাথে লুকোচুরি করে এই রিকশা চালাতে হতো না। প্রয়োজনে মূল সড়কে না দিয়ে গলির রাস্তায় এটি অনুমোদন দেওয়া হোক।
আরেক চালক সালাম মিয়া বলেন, আমরা শহরের নিরাপত্তা ও নিয়ম মেনে রিকশা চালাতে চাই। কিন্তু মালিকরা নতুন রিকশা যোগ করায় আমরা প্রায়ই চাপের মধ্যে থাকি। পুলিশের অভিযান হলে রিকশা জব্দ হয়, আবার কয়েক দিনের মধ্যে রাস্তায় চলে আসে। যদি নির্দিষ্ট এলাকায় অনুমোদন দিয়ে নিরাপদভাবে চালানোর সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে আমরা আইন মেনে উপার্জন করতে পারব।
সিলেট নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশার অবৈধ চলাচল শুধু যানজট ও দুর্ঘটনার কারণ নয়, এটি নগর ব্যবস্থাপনাকেও অচল করে দিচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিত রিকশার সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় পুলিশের জন্য নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যদিও নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে, তারপরও নতুন রিকশা রাস্তায় নামার কারণে সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধান হচ্ছে না।
সিলেট মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান জানান, সিলেটে অনেক অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা রাস্তায় চলাচল করছে। আনুমানিক সংখ্যা ১৫-২০ হাজার। আমরা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে জব্দ করি, কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই আবার রাস্তায় ফিরে আসে। মাসে ১৫০০ এর ওপর রিকশা জব্দ করা হয়। কিন্তু এইগুলা ডাম্পিং কেন্দ্রে রাখাও আরেক ঝামেলা। কারণ আমাদের ডাম্পিংয়ের জায়গা খুব অপ্রতুল। এছাড়াও ওই রিকশার ব্যাটারিগুলো দামি হওয়ায় চুরির সম্ভাবনা থাকে। অন্যদিকে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় মালিকরা নিয়মিত নতুন যান নামাচ্ছেন। মূল সড়কে উঠলেই ব্যবস্থা নিচ্ছি, তবে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা একটু চ্যালেঞ্জিং।
সিলেট নগরীর ব্যাটারিচালিত রিকশার অযাচিত চলাচল কেবল যানজট ও দুর্ঘটনার কারণ নয়, এটি বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও চাপ সৃষ্টি করছে। অনেক অবৈধ রিকশা বৈধ অনুমোদন ছাড়াই বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার করছে। এতে শুধু বিদ্যুৎ সরবরাহেই প্রভাব পড়ছে না, বরং দুর্ঘটনা ও বৈদ্যুতিক ঝুঁকির শঙ্কাও বাড়ছে।
বিষয়টি নিয়ে ওজোপাডিকোর সিলেট বিভাগের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরাফাত গণমাধ্যমকে বলেন, সিলেট নগরীতে ইদানিং ব্যাটারিচালিত রিকশার পরিমাণ বেড়ে গেছে। তারা রিকশা চার্জ দিচ্ছে। আমাদের বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে চার্জিং স্টেশন করার সুযোগ নেই। আমাদের ট্যারিফ রুলস অনুযায়ী কেউ করতে পারবে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, চার্জিং স্টেশনের ক্ষেত্রে শুধু আমাদের মনিটরিং করলে হবে না, সেক্ষেত্রে পুলিশ ও সিটি কর্পোরেশনের ভূমিকা রয়েছে। চার্জিং স্টেশন কেউ অবৈধভাবে কেউ করে থাকলে বিদ্যুৎ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাণিজ্যিক কানেকশনের আড়ালে কেউ চার্জিং স্টেশন চালালেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে সিলেট মহানগরীর সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত রিকশার কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে, নিরাপদ চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এসব রিকশা সরকারি অনুমোদন ছাড়া রাস্তায় চলাচল করায় স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা শামীম আহমেদ বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার কারণে আমাদের শহরে প্রতিদিন যানজট সৃষ্টি হয়। পথচারী ও স্কুলছাত্ররা হাঁটাহাঁটি করতে ভীষণ সমস্যায় পড়ে। সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশ যদি সত্যিই এগুলো বন্ধ করে, তাহলে আমাদের জীবন অনেক সহজ হবে।
এ বিষয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় চলার জন্য কোনো স্বীকৃতি দেব না। আমাদের সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্যাডেলচালিত রিকশার অনুমোদন আছে। এ বিষয়ে আমাদের বেশ কিছু মিটিং হয়েছে। সিলেট মহানগর পুলিশ ও সিটি কর্পোরেশন মিলে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ করতে যথাযথ উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে সিলেট মহানগর পুলিশ আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে। পর্যায়ক্রমে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। আর অনুমোদনহীন সকল চার্জিং স্টেশন বিদ্যুৎ বিভাগকে সাথে নিয়ে বন্ধ করব।
সুনামগঞ্জ
এক সময় হাওরের শহর সুনামগঞ্জকে বলা হতো শান্ত শহর। অথচ আজ সেই শহর পরিণত হয়েছে যানজট, দুর্ঘটনা আর বিদ্যুৎ সংকটের শহরে। প্রতিদিন সকাল-বিকেল নাগরিকদের জন্য সবচেয়ে বড় ভোগান্তির নাম হয়ে উঠেছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক। পাঁচ কিলোমিটারের এই শহরে এখন চলাচল করছে কয়েক হাজার অটোরিকশা।
শহরের ট্রাফিক মোড়, হাসপাতাল রোড, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড কিংবা নতুন ব্রিজ এলাকায় সকাল-বিকেল মানুষকে পড়তে হচ্ছে তীব্র যানজটে। অফিসগামী কর্মজীবী থেকে শুরু করে স্কুলের শিক্ষার্থী— সবারই সময় নষ্ট হচ্ছে অকারণে। অনেক সময় অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত আটকে যাচ্ছে যানজটে।
শুধুমাত্র পৌর এলাকায় নিবন্ধন আছে। নিবন্ধিত ইজিবাইকের সংখ্যা ১৩০০, ব্যাটারিচালিত রিকশা আছে প্রায় ১০০০। এর বাইরে কতগুলো চলছে সেটা বলা মুশকিল।
সুনামগঞ্জ শহরে সস্তা ও সহজ যাতায়াতের জন্য ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এক সময় আশীর্বাদ হয়ে এলেও বর্তমানে এটি নাগরিক জীবনে মহাসংকটে পরিণত হয়েছে। যানজট, দুর্ঘটনা আর বিদ্যুতের চাপ— এই ছোট শহরকে প্রতিদিনই অস্থির করে তুলছে।
জেলা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের তথ্যমতে, পুরো জেলায় ৭ থেকে ৮ হাজার ইজিবাইক ও ১ থেকে দেড় হাজার অটোরিকশা আছে। কিন্তু সচেতন মহল বলছে, বাস্তবে এই সংখ্যা পাঁচ গুণেরও বেশি।
জেলা ইজিবাইক (অটো) মালিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুহেল আহমদ জানান, শুধুমাত্র পৌর এলাকায় নিবন্ধন আছে। নিবন্ধিত ইজিবাইকের সংখ্যা ১৩০০, ব্যাটারিচালিত রিকশা আছে প্রায় ১০০০। এর বাইরে কতগুলো চলছে সেটা বলা মুশকিল।
ইজিবাইক চালক আনোয়ার হোসেন বলেন, ৬০০ টাকা ভাড়া দিয়ে গাড়ি চালাই, কিন্তু অবৈধ গাড়িগুলো আমাদের রুটি-রুজি কেড়ে নিচ্ছে। প্রশাসনের উচিত এগুলো আটক করে ডাম্পিং করা।
পথচারী তানভীর আহমেদ বলেন, অবৈধ যানবাহন রাস্তায় চলাচল করে, ট্রাফিক পুলিশ ধরলেও আবার ছেড়ে দেয়। আমরা চাই কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা হোক।
মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান জানান, এ সকল রিকশা চালকদের কোনো প্রশিক্ষণ নেই, সিগন্যাল বোঝে না। তারা হঠাৎ যাত্রী তুলতে গাড়ি থামিয়ে দেয়, আর তখনই জ্যাম হয়।
সুনামগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. হানিফ মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, সুনামগঞ্জের চলাচল করা ৯৯ শতাংশ অটোরিকশা ও ইজিবাইকের নিবন্ধন আছে। সাবেক মেয়র নাদের বখত অবৈধ গাড়িগুলোকে বৈধতা দিয়ে গেছেন। তিনি ইজিবাইক ও অটোরিকশা মিলিয়ে প্রায় ২৭০০ নিবন্ধন দিয়েছেন। ছোট এই শহরের জন্য এটা ক্যান্সারের মতো। কারণ এতো বেশি অনুমোদন দিয়ে গেছেন যা খুবই হতাশার। প্রায় ১৩০০ অনুমোদন দেওয়া ইজিবাইক যদি একসাথে রাস্তায় চলাচল করে তখন আমরা হিমিশিম খাই এগুলো সামাল দিতে। এরপরও আমরা বাহিরের উপজেলা থেকে আসা অনিবন্ধিত এসব ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোরিকশা যাতে শহরে চলাচল না করতে পারে তার জন্য প্রতিদিন অভিযান অব্যাহত রেখেছি।
সুনামগঞ্জের বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের কন্ট্রোল রুম ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানিয়েছেন, ব্যাটারিচালিত যানবাহনের চার্জে তেমন কোনো ঘাটতি হচ্ছে না। তবে গ্রীষ্মকালে নির্দিষ্ট সময়ে চাপ থাকে। আমরা অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, শহরের রাস্তার তুলনায় রিকশার সংখ্যা অনেক বেশি। সম্প্রতি দুই দফা অভিযান চালিয়ে অনেককে আটক করেছি। শহরের প্রবেশপথে এদের নিয়ন্ত্রণ না করলে নাগরিকদের ভোগান্তি কমানো সম্ভব নয়।
হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার
হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার শহরেও একই সমস্যা বিরাজ করছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্কুল-কলেজপথে প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। জেলা ট্রাফিক পুলিশ জানায়, নিবন্ধিত রিকশার তুলনায় অনিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি। প্রতিদিন অভিযান চালানো হলেও প্রবেশপথে নিয়ন্ত্রণ ছাড়া অবৈধ যানবাহন শহরে প্রবেশ করছে।
নাগরিক ও বিশেষজ্ঞদের দাবি
নাগরিক এবং বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশাকে প্রধান সড়ক থেকে সরানো উচিত। প্রয়োজনে অনুমোদিত ইলেকট্রিক রিকশা চালু করে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে বিভাগীয় শহরগুলোতে যানজট, দুর্ঘটনা ও জনদুর্ভোগ আরও বৃদ্ধি পাবে।
এ বিষয়ে নিরাপদ সড়ক চাই (নিচসা) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিশু গমাধ্যমকে জানান, সিলেট নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশার দাপট ও অবৈধ চলাচল শহরের সড়ক নিরাপত্তার জন্য বড় ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। আমরা চাই অবৈধ রিকশাকে প্রধান সড়ক থেকে সরিয়ে বৈধ এবং অনুমোদিত রিকশা চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে দুর্ঘটনা ও যানজট আরও বেড়ে যাবে। এছাড়াও এই অবৈধ রিকশার উৎপাদন চিরতরে বন্ধ করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্করা রিকশা চালাচ্ছে, যাত্রী ও পথচারীর জন্য এটি ভয়ঙ্কর। নাগরিক হিসেবে এইগুলা বয়কট করতে হবে। প্রশাসনকে এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

