ডায়াল সিলেট ডেস্ক ॥ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মীর আব্দুল্লাহ আল মামুনের বদলি বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তে শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসনে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!১৭ জানুয়ারি গণমাধ্যমে ‘ফ্লেক্সিলোড-ইন্টারনেটের এমবিও ঘুষ নেন বড়লেখার শিক্ষা কর্মকর্তা মামুন!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।
এরপর তার বিরুদ্ধে ওঠা এসব তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গীর হোসাইন। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এএসএম রাশেদুজ্জামান বিন হাফিজ ও খাদ্য পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) আব্দুস শহীদ মাহবুব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার (ভারপ্রাপ্ত) মীর আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে শিক্ষা কর্মকর্তা মামুনের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী শিক্ষকরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মীর আব্দুল্লাহ আল মামুন ২০১৯ সালে উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে বড়লেখায় যোগদান করেন। গত বছরের ১৬ জানুয়ারি ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্ব পান তিনি। দায়িত্ব পেয়ে তিনি যেন আরও বেপোরোয়া হয়ে ওঠেন। সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে বদলি বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ রয়েছে, মামুন নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা করেন না। ঘুষ ছাড়া কোনো কাগজেই স্বাক্ষর করেন না। ঘুষ হিসেবে তিনি ফ্লেক্সিলোড ও ইন্টারনেটের এমবিও নেন বলে প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে নারী শিক্ষকদের যৌন হয়রানীরও অভিযোগ আছে। চাকরি হারানোর ভয়ে এতদিন কেউ প্রতিবাদ না করলেও সম্প্রতি কয়েকজন শিক্ষক এই প্রতিবেদকের কাছে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেন। নানা অনিয়ম-দুর্নীতির পরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তার খুঁটির জোর নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।

