ডায়ালসিলেট ডেস্ক::

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শামীম আহমদের (৫০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) বেলা ২টার দিকে উপজেলার নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের কবিরা গ্রামের বন্ধন ব্রিকফিল্ডের পাশের একটি পুকুরপাড় থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত শামীম উপজেলার নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের জছির আলীর ছেলে।

পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা ও শামীম আহমদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ইউপি সদস্য শামীম আহমদ বাজারে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রাতে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। আজ মঙ্গলবার সকালে পরিবারের লোকজন তাকে ঘরে না পেয়ে তার মুঠোফোনে কল দেন এবং বিভিন্ন স্থানে তাকে খুঁজতে থাকেন। সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় লোকজন কবিরা গ্রামের বন্ধন ব্রিকফিল্ডের পাশের একটি পুকুরপাড়ে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি তার স্বজন ও পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

জানা গেছে, শামীম আহমদ দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন।

নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, ‘একটি পুকুরপাড়ে ইউপি সদস্য শামীম আহমদের লাশ পাওয়া গেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। ইউপি সদস্য শামীমের পরিবারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, তিনি সন্ধ্যায় বাজারে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। প্রতিদিন রাতে দেরিতে তিনি বাড়িতে ফেরেন। পরিবারের সদস্যরা তার জন্য খাবার রেখে ঘুমিয়ে যান। তিনি বাইরে থেকে এসে খাবার খেয়ে ঘুমান। সোমবার রাতে শামীম আর বাড়ি ফেরেননি। সকালে পরিবারের লোকজন তাকে ঘরে না পেয়ে ফোন করেন। তিনি কল রিসিভ না করায় তারা তাকে বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে কবিরা গ্রামের একটি পুকুরপাড়ে স্থানীয় লোকজন তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্বজনদের জানান। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।’

ইউপি সদস্য শামীম আহমদের চাচাতো ভাই দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।’

শামীমের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তা ঠিক জানা নেই। যেহেতু পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে, রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে তিনি কীভাবে মারা গেছেন।’

বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রতন দেবনাথ বলেন, ‘ইউপি সদস্য শামীম আহমদের লাশ একটি পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে শুনেছি তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তারপরও তিনি যেহেতু একজন জনপ্রতিনিধি, তাই লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেল মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *