ডায়াল সিলেট ডেস্ক    বড়লেখা উপজেলার সৎপুর গ্রামের পাঁচ যুবকসহ আটজনকে কানাডা পাঠানোর নামে ১ কোটি ২৯ লাখ ৮ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নেওয়া মানব পাচারকারী চক্রের মূলহোতা নাজমুল ইসলামের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাহেদ আহমদ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক প্রধান আসামীর (হাজতি) তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। নাজমুল উপজেলার সৎপুর গ্রামের নইম উদ্দিনের ছেলে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

জানা গেছে, মানবপাচার মামলার আসামী বড়লেখার নাজমুল ইসলাম ও কুলাউড়ার কামারকান্দির রুবেল আহমদ এবং মামলার বাদী খছরুল আলমের ছোটভাই খাইরুল হাসান দুবাই থাকতেন। আসামী নাজমুল ইসলাম তার পাসপোর্টে কানাডার ইমিগ্রেশন সীল ও কিছু ভিডিও দেখিয়ে তাকে কানাডা যেতে প্রলুব্দ করে প্রস্তাব দেয় তাকেসহ আগ্রহী যে কাউকে কানাডায় পাঠাতে পারবে। নাজমুল ও রুবেল বিশ্বাস জন্মিয়ে বড়লেখার খায়রুল হাসান, জিলাল আহমদ, আমিনুল ইনলাম, আব্দুল গনি, দেলোয়ার হোসেন এবং দেশের অন্য এলাকার ৩ জনসহ ৮ জনকে কানাডা পাঠাতে তাদের নিকট থেকে ৫২ লাখ ২৮ হাজার ৫০০ টাকা অগ্রীম নেয়। গত বছরের ২০ আগস্ট কানাডা যাত্রা চূড়ান্ত জানিয়ে আটজনের মধ্যে ছয় জনকে দুবাই থেকে দেশে পাঠায়। পরে অন্য ৩ জনসহ মোট ৮ জনকে ৩ হাজার ডলার করে সঙ্গে নিয়ে ভিসা তুলতে ভারতে পাঠায়।

পাচারকারী সিন্ডিকেটের ভারতীয় সদস্যরা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে চোখ বেঁধে একটি রুমে তাদেরকে আটকে ২৪ হাজার ডলার হাতিয়ে নেয়। জিম্মি করে শারীরিক নির্যাতনের ছবি হোয়াটসঅ্যাপে বাড়িতে পাঠিয়ে মুক্তির জন্য আরো ৪৮ লাখ টাকা আদায় করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী খায়রুল হাসানের ভাই খছরুল আলম গত ১৪ নভেম্বর মানবপাচারকারী সিন্ডিকেটের মূলহোতা বড়লেখার নাজমুল ইসলাম, তার বাবা নইম উদ্দিন, সহযোগী কুলাউড়ার রুবেল আহমদ ও তার স্ত্রী মুন্নি বেগমকে আসামী করে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে বড়লেখা থানায় মামলা করেন। গত ১৩ জানুয়ারী ওই মামলায় জামিন নিতে গেলে প্রধান আসামী নাজমুল ইসলামকে আদালত কারাগারে পাঠান।

বড়লেখা আদালত পুলিশের জি.আরও পিযুষ কান্তি দাস জানান, মানবপাচার প্রতিরোধ আইনের মামলার প্রধান আসামী নাজমুল ইসলামকে মামলার প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাহেদ আহমদ পাঁচ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তা আদালত থেকে আসামীকে থানায় নিয়ে গেছেন।

 

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *