ডায়ালসিলেট ডেস্ক::

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় প্রতিপক্ষের নৃশংস হামলায় আমির উদ্দিন (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হওয়ার ঘটনার প্রায় দুই মাস পর একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে জুড়ী থানা এলাকায় তদন্তকারী কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারনামীয় আসামি আব্দুল্লাহকে (২৬) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আব্দুল্লাহ বড়লেখা উপজেলার নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের নিজবাহাদুরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে। মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আমির উদ্দিন স্ত্রীকে নিয়ে প্রতিরাতে নিজবাহাদুরপুরের এরালবিলের বাউরিখাল নামক স্থানে মাছ ধরতেন। সেখানে অস্থায়ী একটি ঘরে তারা রাত্রিযাপন করতেন। ৮ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে বাউরিখালে মাছ ধরতে যান। পরদিন ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টার দিকে আমিরের এক ভাতিজার মাধ্যমে খবর পেয়ে স্থানীয় সাধু কালীবাড়ি টিলা এলাকায় তাদের অজ্ঞান অবস্থায় পান স্বজনরা। এ সময় স্বজনরা আমির উদ্দিনের জিহ্বা কাটা, দাঁত ভাঙা ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম দেখতে পান। মুমূর্ষু অবস্থায় তারা তাকে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে সিলেট এম এ জি ওসামানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় আমির স্বজনদের কাছে ঘটনার বিবরণ দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান। আমির উদ্দিন নিজবাহাদুরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে। এ ঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর আমির উদ্দিনের মেয়ে জেনেফা বেগম জবা বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে বড়লেখা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, ১ থেকে ৩ নম্বর আসামির সঙ্গে তার বাবার পূর্ববিরোধ ও মনোমালিন্য চলছিল। যার কারণে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রতন দেবনাথ শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘বৃদ্ধের উপর নৃশংস হামলা চালানো হয়েছিল। সংকটাপন্ন অবস্থায় স্বজনরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর তার মেয়ে বাদী হয়ে মামলা দেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃদ্ধ মারা যান। মামলার পর আসামিরা পলাতক হয়। তাদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। শনিবার এজাহারনামীয় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত আছে।

এ/

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *