লক্ষ্য খুব বড় ছিল না, মোটে ২১২ রানের। উদ্বোধনী জুটিতে ৭০ রান তুলে দেন দুই ওপেনার নাইম শেখ আর তানজিদ হাসান তামিম। এমন ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে সহজেই জয় পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!কিন্তু পরের ব্যাটাররা যেন পণ করে বসেছিলেন, তেড়েফুড়ে মারতেই হবে। ফলে যা হওয়ার তাই হলো। সহজ এক লক্ষ্যও পেরোতে পারলো না বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ৩৪.২ ওভারে অলআউট হয়ে গেলো ১৬০ রানেই।
কলম্বোয় বাংলাদেশকে ৫১ রানে হারিয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে গেছে ভারতীয় ‘এ’ দল। ফলে ফাইনাল হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের।
লক্ষ্য সহজ ছিল। কিন্তু উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পরই নড়বড়ে হয়ে যায় বাংলাদেশ। নাইম ৪০ বলে ৩৮ করে ফেরার পর তামিম হাফসেঞ্চুরি করেন ঠিকই, কিন্তু সেটাকে আর বড় করার চেষ্টা করেননি। ৫৬ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৫১ করে সাজঘরের পথ ধরেন এই ওপেনার।
এরপর জাকির হাসান আউট হন ৫ করে। অধিনায়ক সাইফ হাসানকে বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল। কিন্তু অতি আত্মবিশ্বাসে ভুল শট খেলে বসেন সাইফ। ২৪ বলে ২২ করে তিনি ফিরলে বিপদ শুরু হয় বাংলাদেশের। এরপর সৌম্য সরকার ৫ রানে আউট হন। আকবর আলি করেন ২। ১৩৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে জুনিয়র টাইগাররা।
শেখ মাহাদি আর মাহমুদুল হাসান জয় সপ্তম উইকেটে ২০ রানের একটি জুটি গড়েছিলেন। কিন্তু এই জুটিটা বড় হয়নি মাহাদির ভুলে। খামোখা তেড়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে আসেন তিনি (১১ বলে ১২)। প্রথম বলেই রিভার্স সুইপ খেলে উইকেট দিয়ে আসেন রাকিবুল হাসানও (০)।
শেষ ভরসা ছিলেন জয়। কিন্তু জয়ের আশা জাগাতে পারেননি তিনিও। ৪৬ বল খেলে ২০ রান করে তিনিও আর সবার মতো দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলে সাজঘরে ফেরেন।
বাংলাদেশকে বলতে গেলে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন ভারতের বাঁহাতি স্পিনার নিশান্ত সিন্ধু। ২০ রানে ৫টি উইকেট নেন তিনি। আরেক স্পিনার মানব সুথার ৩২ রানে নেন ৩টি উইকেট।
এর আগে ১৩৭ রানে ভারত হারিয়েছিল ৭ উইকেট। মনে হচ্ছিল, ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার জন্য একদম সহজ লক্ষ্যই পাবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। কিন্তু ভারত ‘এ’ দলের অধিনায়ক ইয়াশ ধুল একাই লড়াই করে এনে দিলেন চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।
রিপন মণ্ডলের বলে ধুল আউট হয়েছেন ইনিংসের ৫ বল বাকি থাকতে। তবে তার আগে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা যা বাড়ানোর বাড়িয়ে দিয়ে গেছেন তিনি। ভারত অলআউট হয় ২১১ রানে।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশের অধিনায়ক সাইফ হাসান। ২৯ রানে ভারতের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সাই সুদর্শনকে (২১) উইকেটরক্ষক আকবর আলির ক্যাচ বানান এই পেসার।
দ্বিতীয় উইকেটে ৪৬ রানের জুটি গড়েন অভিষেক শর্মা আর নিকিন জোসে। দলীয় ৭৫ রানের মাথায় নিকিন জোসেকে (১৭) সাজঘরে ফিরিয়ে এই জুটিটি ভাঙেন অধিনায়ক সাইফ। টাইগার অফস্পিনারের বলে জাকির হাসানকে ক্যাচ দেন জোসে।
এরপরই ভারতকে ভালোভাবে চেপে ধরেন বাংলাদেশি বোলারররা। পরের ওভারে অভিষেক শর্মাকে (৩৪) সাকিবের তালুবন্দি করেন রাকিবুল হাসান। এরপর নিশাত সান্ধুকেও (৫) থিতু হতে দেননি বাঁহাতি এই স্পিনার।
১২ রান করা রিয়ান পরাগকে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন সাকিব, ৩২তম ওভারে। তার পরের ওভারে উইকেটরক্ষক ধ্রুব জুরেলকে (১) এলবিডব্লিউ করে ভারতকে আরও বড় বিপদে ফেলেন শেখ মাহাদি হাসান। এরপর হার্শিত রানাকেও (৯) ফেরান মাহেদি। ১৩৭ রানে ৭ উইকেট হারায় ভারত।
কিন্তু এমন কোণঠাসা অবস্থা থেকে ভারতীয়রা ঘুরে দাঁড়ায় অধিনায়ক ইয়াশ ধুলের ব্যাটে। লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে দুর্দান্ত লড়াই করেন ধুল। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন ৮৫ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে।
বাংলাদেশের শেখ মাহেদি, তানজিম সাকিব আর রাকিবুল হাসান নেন দুটি করে উইকেট।

