ডায়ালসিলেট ডেস্ক: মৌলভীবাজারের চাতলাপুর সীমান্তের ওপারে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাশহরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো দুই বাংলার কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিককর্মীদের অংশগ্রহণে আন্তরজাতিক মাতৃভাষা উৎসব।
ভারতের কৈলাসহর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত মাতৃভাষা উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক ড. বিশাল কুমার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৈলাসহরের মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার, বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণ করেন সাংবাদিক মুজিবুর রহমান রঞ্জু, সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক বিকুল চক্রবর্তী, সঞ্জয় দে, সংগীত শিল্পী তারেক ইকবাল চৌধুরী, সাংবাদিক ও সংগীত শিল্পী ইমন কল্যাণ দেব চৌধুরী, চৌধুরী ভাস্কর হোম, নাট্যাভিনেতা সুকান্ত চক্রবর্তী, ঝুমন মিয়া, গোপাল চন্দ্র রায়, বর্ণ চক্রবর্তী, কামরুল হাসান দুলন, বিপ্লব দেব ও সাংবাদিক সালাউদ্দিন শুভ।
এর আগে কৈলাশহর প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে অনুষ্টিত হয় ৫২’র ভাষা আন্দোলন ও শহীদ মিনারের উপর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগীতায় চারটি বিভাগে প্রায় দেড় শতাধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে।
সন্ধ্যা ৬টায় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, সংগীতানুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৈলাসহর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চারু কৃষ্ণ কর। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে আলোচনা করেন তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক বিশ্বজিৎ দেব ও বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক সত্যজিৎ দত্ত।
কৈলাশহর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক জামাল উদ্দিদনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে জেলাশাসক ডা: বিশাল কুমার বাংলা ভাষার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ভারতের রাষ্ট্রীয় গান রাষ্ট্রীয় সংগীতে বাংলা ভাষার ব্যবহার হয়েছে। ভারতবর্ষের অনেক সঙ্গীতজ্ঞ বাঙ্গালী।
অনেক নায়ক নায়িকাও বাঙালির মধ্যে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, নিজের ভাষা মনের মধ্যে রেখে সাথে সাথে অন্য ভাষার সম্মান দেখানোই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা উৎসব পালনের মূললক্ষ্য।
অনুষ্ঠান শেষে তিনি বাংলাদেশের অতিথিদের হাতে প্রেসক্লাবের তরফ থেকে দেওয়া স্মারক ও মানপত্রগুলো তুলে দেন। বাংলাদেশ থেকে আগত বিশিষ্ট সাংবাদিকরা দু’দেশের সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করেন। একই সাথে বাংলাদেশের শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাব সদস্য ও সাংস্কৃতিককর্মী, সদস্যরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও স্বাধীনতার উপর নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের সাংবাদিক বিকুল চক্রবর্তী রচিত নাটক “বীরাঙ্গনা মায়ার আত্মকাহন” নাটকটিতে বাংলাদেশ শ্রীমঙ্গলের জনতা নাট্যগোষ্টীর পাশাপাশি ভারতের ধর্মনগরের অতিথি শিল্পীরাও অভিনয় করেন।
অনুষ্ঠানের শেষ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক ডঃ বিশাল কুমার এবং কৈলাসহরের মহকুমাশাসক প্রদীপ সরকারকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *