আর্ন্তজাতিক ডেস্ক::   ভারতের সঙ্গে চীন সেনা উপস্থিতি বাড়িয়ে চলার জবাবে প্রকৃত সীমান্তরেখায় (এলএসি)এবার ভারত উত্তেজনাপূর্ণ লাদাখে আরেক ডিভিশন সেনা মোতায়েন করেছে। সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ভীষণ উত্তেজনাকর পরিস্থিতি চলার মধ্যে এই দুই প্রতিবেশী পাল্টাপাল্টি এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করল।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

সীমান্তবর্তী গালওয়ান উপত্যকায় (গত ১৬ জুন)চীন ও ভারতের সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এখন পর্যন্ত পূর্ব লাদাখে চার ডিভিশন সেনা মোতায়েন করল নয়াদিল্লি।

ওই সংঘর্ষের আগে গত মে মাসে পূর্ব লাদাখে ভারতের মাত্র এক ডিভিশন সেনার উপস্থিতি ছিল। তবে পরিস্থিতি পাল্টে যাওয়ায় সেখানে ভারত এখন সর্ববৃহৎ সেনা উপস্থিতি ঘটাচ্ছে। ১৫ থেকে ২০ হাজার সেনার সমন্বয়ে একটি ডিভিশন গঠিত হয়ে থাকে। নতুন এই ডিভিশনকে উত্তর প্রদেশ থেকে লাদাখের পূর্বাঞ্চলে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি এই ডিভিশনের গোলন্দাজ বাহিনীও লাদাখে পৌঁছাবে।

চীনের সঙ্গে লাদাখের দীর্ঘ ৮৫৬ কিলোমিটার সীমান্ত, যার শুরু কারাকোরাম গিরিপথ দিয়ে। শেষ হয়েছে দক্ষিণ লাদাখের চুমুরে গিয়ে। সীমান্তের এই অংশের বিভিন্ন এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে চীনা সেনাদের অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়।

গত শুক্রবার সবার অলক্ষ্যে হঠাৎ লাদাখে গিয়ে চীনের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়ে এসেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই দিন সকালে লাদাখের রাজধানী লেহ নেমে কিছু সময়ের মধ্যে ফরওয়ার্ড ঘাঁটি নিমুতে গিয়ে তিনি সেনাদের সঙ্গে কথা বলেন।

গত মে মাসের শুরুতে চীনের সঙ্গে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেওয়ার পরপরই লাদাখে উত্তর প্রদেশ ও হিমাচল প্রদেশ থেকে দুটি পার্বত্য সেনা ডিভিশন মোতায়েন করে ভারত। পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি ভালোভাবে রপ্ত করার পর এই ডিভিশন দুটির সেনাদের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে। এরপর দুই মাস গেলেও লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চীন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা কমেনি। বরং এখানে চীন সেনা, ট্যাংক ও সশস্ত্র যান মোতায়েন করে চলেছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *