করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ভারতে প্রবেশ করার পর বিদেশিদের জন্য সাত দিনের যে ‘হোম কোয়ারেন্টিন’ চালু ছিল; তা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেে এনডিটিভি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ভারতের জন্য ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করে বেশ কিছু দেশের যে তালিকা করা হয়েছিল, সেই তালিকা বাতিল করা হয়েছে।
একই সঙ্গে বিদেশিদের জন্য সাত দিনের হোম কোয়ারেন্টিন বাদ দিয়ে ১৪ দিনের ‘ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ’ পদ্ধতি চালু হচ্ছে। এর ফলে ভারতে ঢুকেই কাউকে আর আগের মতো কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না।
ভারতে ঢোকার সময় বিদেশিদের আগের ১৪ দিনের ভ্রমণের তথ্য জানাতে হবে কর্তৃপক্ষকে। এই তথ্য পূরণ করা যাবে সে দেশের নির্ধারিত ওয়েব পোর্টালে।
ভ্রমণকারীকে দেশটিতে প্রবেশের সময় আরটিপিসিআর টেস্টের পর করোনার নেগেটিভ সনদ আপলোড করতে হবে সেখানে। এই সনদ কোনোভাবেই ৭২ ঘণ্টার বেশি সময় আগের হওয়া যাবে না।
এ ছাড়া দুই ডোজ করোনার টিকা নেয়া থাকলে সে সনদও দেখানো যেতে পারে। তবে এই সুবিধা পাবে শুধু টিকার ক্ষেত্রে ভারত সরকার স্বীকৃত ৭২টি দেশ।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় প্রথম দিকে আছে ভারতের নাম। এই দেশে শনাক্ত হওয়া ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন সম্প্রতি বেশ প্রভাব ফেলছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ভারতের ৬৭ হাজারের বেশি মানুষ।ৃ

