ডায়ালসিলেট ডেস্ক: ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের চুলুবাড়ির হটাৎবাজার থেকে মানিকবন্দর হয়ে এড়ারপার বাজার পর্যন্ত নতুন করে রাস্তা তৈরি করছে দেশটির সরকার। এই রাস্তা করতে গিয়ে এড়ারপার এলাকায় ধলাই নদীতে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরে নদীতে বাঁধ বেঁধে গার্ডার সেতু নির্মাণ কাজের ফলে ভাটি অঞ্চলে বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত ধলাই নদীটি এখন ‘মৃতপ্রায়’ হয়ে গেছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের (২০২২) ফেব্রুয়ারিতে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ধলাই জেলার ধলাই নদীর ওপর এড়ারপার এলাকায় লোহার সেতুটি ভেঙে পড়ে। এতে কমলপুর-কৈলাশহর রাস্তার যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। লোহার ওই সেতুর স্থানে বর্তমানে একটি নতুন গার্ডার সেতু তৈরির কাজ চলছে। এই সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বুক চিরে প্রবাহিত ধলাই নদীর ভারতের অংশের এড়ারপার এলাকায় বাঁধ দেওয়া হয়েছে। সেতুর পিলারের (খুঁটি) ভিত (বেজমেন্ট) ঢালাইয়ের জন্য নদীতে বাঁধ দেওয়ায় নদীতে পানিপ্রবাহও বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ধলাই নদীটি এখন ‘মৃতপ্রায়’। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে প্রায় ৬৬ দশমিক ৭৭ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের মোকাবিল এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে ধলাই নদী। সীমান্তের ওপারে ধলাই নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৪০ কিলোমিটার আর বাংলাদেশের ভেতরে ৫৭ কিলোমিটার। নদীটি কমলগঞ্জ উপজেলার বুকচিরে মৌলভীবাজারের মনু নদীতে গিয়ে মিশেছে। খরস্রোতা ধলাই নদীতে বর্তমানে পানি নেই বললেই চলে।
পরিবেশবাদী ও নদী রক্ষা আন্দোলনের কর্মীরা বলছেন, সেতু নির্মাণের জন্য এভাবে বাঁধ দেওয়া নদী হত্যার সামিল। পানি প্রবাহের ব্যবস্থা না রেখে সেতু নির্মাণ করায় নদীর বুকে চড় জেগেছে।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকোশলী জাবেদ ইকবাল বলেন, ধলাই নদীর উজানে ভারতে নদীতে বাঁধের বিষয়ে কিছুই জানা নেই। এ বিষয়ে বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

