ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নেতারা বলেছেন, দেশের মানুষ আজ আওয়ামী সন্ত্রাসের কাছে জিম্মি। শ্রমজীবী মেহনতি জনতা থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ আজ অতিষ্ঠ। নির্যাতিত নিপীড়িত ৯৫ শতাংশ মানুষ ৭ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অলিখিত ঐকমত্য তৈরি করেছে। তারা খুব শিগগিরই রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফাইভ পার্সেন্ট সরকারের পতন নিশ্চিত করবে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় রাজধানীতে আয়োজিত এক গণবিক্ষোভ কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তারা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সীমান্ত হত্যা, ধর্ষণ ও সন্ত্রাসসহ আওয়ামী দুর্বৃত্তপনার বিরুদ্ধে এই গণবিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয় এবি পার্টি।
গণবিক্ষোভে এবি পার্টির নেতারা আরও বলেন, একটি তাঁবেদার সরকার অগণতান্ত্রিকভাবে জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে ক্ষমতা দখলের কারণে আজ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। এই দখলদার সরকার ক্ষমতা দখলের পরপরই নতুন করে আওয়ামী দুর্বৃত্তরা দেশকে ধর্ষণ আর লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে।
পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয়-৭১ চত্বরে আয়োজিত গণবিক্ষোভে সভাপতির বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলেই গুম, খুন, লুটপাট আর ধর্ষণ বাড়ে। কী পরশপাথর তাদের হাতে আছে যে… ক্ষমতায় আসামাত্রই সম্পদ শতগুণ বাড়ে। কারণ আওয়ামী লীগ মানেই স্বৈরাচার। আজ তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে একতরফা লুটপাট আর ধর্ষণের নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে।
মঞ্জু বলেন, আমরা চাই শান্তিপূর্ণভাবে দেশের সমস্যা সমাধান হোক, মানুষের ওপর নির্যাতন বন্ধ হোক। কিন্তু আওয়ামী লীগ শান্তি বোঝে না। তারা এখন পার্লামেন্ট থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার সমিতির নির্বাচনে পর্যন্ত ভোট চুরি শুরু করেছে। এই অধিকার হারা মানুষ যখন মাঠে নামবে, তখন তারা কারো মুখের দিকে তাকাবে না। তখন মানুষ ভাই, বন্ধু কিছুই বুঝবে না। মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এমন প্রতিরোধ গড়বে, আওয়ামী লীগের নাম টিকিয়ে রাখা তখন কঠিন হবে।
গণবিক্ষোভে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমারে যেভাবে সহিংসতা চলছে, যেভাবে ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে, সরকার যদি সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করত… অনেক আগেই আরাকান স্বাধীন হতো এবং রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফেরত যেতে পারত।
তিনি বলেন, ঢাকার প্রতি ইঞ্চি মাটি যেমন আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি নাইক্ষ্যংছড়ির এক ইঞ্চি মাটিও আমাদের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। যে বাহিনী দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারবে না, সেই বাহিনী আমাদের দরকার নেই। তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগের ধর্ষণ বন্ধ করুন, ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন। নইলে জনগণ এমন পদক্ষেপ নেবে, আপনারা রাস্তায় বের হতে পারবেন না।
দলের যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক বলেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এবি পার্টি রাজপথে সংগ্রাম করছে। এই আন্দোলন সংগ্রাম চলবে ইনশাআল্লাহ।
বিক্ষোভে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, ওমর ফারুক ও আনোয়ার ফারুকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

