ডায়ালসিলেট ডেস্ক::পল্লবীতে একটি বাড়ীর জাল দলিলপত্র করে বাড়ী দখলের অভিযোগ উঠেছে। দখল টিকিয়ে রাখতে বাড়ীতে রাতেই বসবাস শুরু করেছে তারা নাকি বাড়ীর মালিক। জানাগেছে, বাসা-৯, রোড-৫, ব্লক-এ, মিরপুর-১১, নান্নু সুপার মার্কেট সংলগ্নে ১০ কোটি টাকা মুল্যের বাড়ীর মালিকের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছেনা অনেক বছর ধরেই। পাওয়া যাচ্ছেনা বাড়ীর মালিকের কোনো ওয়ারিশদের। তবে ২০১৪ সালে বাড়ীর ওয়ারিশান দাবী করে সোহাগ নামের একব্যক্তি বাড়ীতে সাইফুল নামে এক দারোয়ান নিয়োগ করেন। দারোয়ান বেশ চালাকের সাথেই কিছু দিন পর জানতে পারে এই বাড়ীর বিষয়ে। পরে তিনি তার পুরো পরিবার নিয়ে উক্ত বাড়ীতে বসবাস শুরু করে। কয়েক বছর থাকার পর নিজেই বাড়ীর মালিক দাবী করেন। দারোয়ান ১০ কোটি টাকা মুল্যের বাড়ীর লোভ সামলাতে না পেরে বাড়ী বিক্রির জন্য তিনি বিভিন্ন পাটি খুজতে থাকেন। জানা যায়, বাড়ীর দারোয়ানের সাথে ২০১৯ সালে ন্যাটা মাসুদ ওরপে সোর্স মাসুদের সাথে পরিচয়। ন্যাটা মাসুদ ১০ কোটি টাকা মুল্যের বাড়ীর বিষয়ে ন্যাটা মাসুদ তার বস খবরের আলো সম্পাদক কাম ভূমিদস্যু আমিরের কাছে জানায়। এই তথ্য বাড়ীর ওয়ারিশান দাবীকারী সোহাগ জানতে পেরে দারোয়ানকে বাড়ী ছাড়তে বললে। দারোয়ান মোটা অংকের অর্থ না দিলে বাড়ী দখল ছাড়বেনা। পরে ১২/০৭/ ২০২০ ইং তারিখে দারোয়ান সাইফুলের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন বাড়ীর মালিক সোহাগ। পরে ন্যাটা মাসুদ ওরপে সোর্স মাসুদের বস ভূমিদস্যু আমির উক্ত বাড়ীর দারোয়ানসহ তার পরিবারকে মোটা অংকের অর্থ দিয়ে ১০/১১/২০২০ দখল কিনে এক রাতেই নারী কিলার ও তার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীদের পরিবার সাজিয়ে গভির রাতে বাড়ীতে উঠিয়ে দখল করেন। জানা গেছে, হাউজিং থেকে বাড়ীর জাল দলিল বানানোর জন্য ২০ লাখ টাকা জমির দালাল ওরপে টাকলু মিজানের সাথে চুক্তি হয়। এলাকায় আনাগোনা চলছে, খুব শিগগিরই ভুয়া ওয়ারিশান সাজিয়ে হাউজিং থেকে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি হচ্ছে। কিছু কাগজ তৈরি হলেই কোর্টে একটা ইন্জেংশন মামলা জারি করা হবে। পরে বছরের পর বছর মামলা চলবে কেউ আর বাড়ীর মালিক চাইলেও দখল নিতে পারবেনা। মামলা চলবে একটার পর একটা। এছাড়াও আমির একে একে যতগুলো বাড়ী দখল করেছেন বিভিন্ন এই মামলা পন্থায়। বাড়ী দখল করেই কোর্টে মামলা টুকে দেয়। লোকমুখে আরো শোনা যায়, বিগত সময়ে আমির হোসেন ছিলো সৌদি আরবে ময়লা টানা গাড়ীর হেলপার পাশাপাশি অবৈধভাবে হুন্ডির ব্যবসা করে কিছু টাকা পয়সার মালিক বনে যায়। দেশে এসে আমির নিজের নামেই একটি “আমির হজ্ব এন্ড ওমরা সার্ভিস খুলেই প্রভাবশালী নেতা, এমপি-মন্ত্রী ও উচ্চপর্যায়ের সরকারি অফিসার, সেনাবাহিনীর অফিসারদের হজ্ব পালনের নামে বিদেশে ভ্রমনের ব্যবস্থা করে তাদের সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তাদের সাথে মোবাইলে সেলফি তুলতেও ভুল করেন-না। এই ভূমিদস্যু কথিত হাজ্বী আমির হোসেন। বর্তমানে সেই ছবি-ই তার দখল বানিজ্যের মুল হাতিয়ার। প্রশাসনিক ঝামেলা এড়াতে পরে দখলকৃত বাড়ীতে “খবর বাংলাদেশ” নামে একটি পত্রিকার অফিস খুলে সাংবাদিক ও প্রশাসনের চাপ তার দিকে না আসে। তার কিছুদিন পরেই সাংবাদিকের নুন্যতম জ্ঞান-না থাকলেও ৮ লাখ টাকা খচর করে তিনি নিজেই একটি দৈনিক খবরের আলো পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক রাতারাতি বনে যান। সেই পত্রিকার কার্ড আশুলিয়া ও মিরপুরের বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী, জামাত বিএনপি মামলার আসামীদের কাছেও পত্রিকার কার্ড গলায় ঝুলানো দেখা যায়। সন্ত্রাসী জামিল মামুন বাহিনীর সদস্যদের অর্থের বিনিময় কার্ড দিয়ে তাদের প্রকাশ্যে নানা অপরাধ কর্মকান্ড করার লাইসেন্স হাতে তুলে দিচ্ছেন এই দেশদ্রোহী ভুমিদস্যু আমির হোসেন। তার ভুমি দখলেও তাদের কাজে লাগিয়ে একাধিক বাড়ী দখলের অভিযোগও রয়েছে বর্তমান যে বাড়ীতে অফিস কাম টর্চার সেল তৈরি করেছে সেটাও দখলের বাড়ী- সাইনবোর্ডে লেখা মামলার বিভিন্ন রেফারেন্স দেওয়া। তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে দখলকৃত বাড়ীতে খবর বাংলাদেশ অফিস বর্তমানে খবরের আলো অফিস কাম টর্চার সেলে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালায়। থানা পুলিশের সাথেও রয়েছে তার দহরমমহরম সু-সম্পর্ক। আমিরের পত্রিকায় বার্তা সম্পাদক পদে কাজ নেয় সোহাগ নামের সুনামধন্য সাংবাদিক। আমিরের এই অপকর্মের বিরুদ্ধে পতিবাদ করলে তাকে ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। আমির কৌশলে সোহাগের স্ত্রীর সাথে মোটা অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে সম্পর্ক গড়ে সংসারটাকে ভেঙ্গে দেয় এমন কি স্ত্রীকে বাদী করে সোহাগের বিরুদ্ধে মামলাও করায় এই ভুমি খেকো আমির। এতিম করে দেয় সোহাগের দুটি সন্তানকে। অশ্রু ভেজা দু’চোখে এমন ভাবেই আমিরের কু-কর্মের কথা জানান সোহাগ। কৌশিক নামের এক সাংবাদিক ও তার নির্যাতনে শিকার হয়ে সে পল্লবী এলাকা ছেড়েছেন ভয়ে। জানা গেছে মারুফ হায়দার নামে একজন তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন “সৌদিতে ময়লার গাড়ী চালক মিরপুরে হাজ্বী থেকে এখন পত্রিকার সম্পাদক” সাথে সাথে তাকেও নাজেহাল করে ছাড়ে এই আমির হোসেন। পরে জীবনের নিরাপত্তার জন্য পোষ্টটি ডিলিট করে দেন মারুফ হায়দার। ভুমিদস্যু আমিরের সকল অপকর্মের কথা এক পর্ব লেখায় শেষ করা সম্ভব নয় ধারাবাহিক ভাবে চলামন থাকবে আমির হোসেনের কোটিপতি হওয়ার আসল রহস্যের পিছনে। অন্যদিকে তিন’দিন আগে মিরপুর পল্লবীর এক সাংবাদিক শেখ রাজু আহমেদ তার ফেসবুকে ভুয়া কাগজে সম্পাদক হওয়া ও একেরপর এক অন্যের জায়গা জমি দখলের ইতিহাস টানবেন বলে স্ট্যাটাস দেন। তার ঘন্টাচারেক পরেই রাজধানী পল্লবীর খবরের আলো নামক একটি পত্রিকার সম্পাদক সমাধানের নামে কৌশলে নতুন বার্তার সম্পাদক ইউসুফ আহমেদ তুহিন,সাংবাদিক আব্দুল আল মাসুম ও তার বন্ধু শেখ রাজুকে ডেকে নিয়ে যায় তার পল্লবীর বি-ব্লকের দখলকৃত আরেকটি বাড়ী কাম অফিস কাম টর্চার সেলে। অফিসে নিয়ে ন্যাটা মাসুদ অরফে সোর্স মাসুদকে দিয়ে মেইন গেট লাগিয়ে তাদের উপর অমানবিক নির্যাতন ও হামলা চালায় হত্যার চেষ্টা করে। উপায়ন্তর না পেয়ে সাংবাদিকরা জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন দেয়। ঘটনাস্থলে দ্রুত পল্লবী থানা পুলিশ পৌছে তাদের উদ্ধার করে। সেখান থেকে উদ্ধার হয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা ঢাকা শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *