মৌলভীবাজারে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠান ও সরকারী কর্মকর্তা ও গনমাধ্যমকর্মী নিয়ে ই-জিপি সহজীকরণ ও বিভিন্ন সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!বৃহস্পতিবার ১২ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত কর্মশালা জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপিটিইউ এর পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মোঃ শামিউল হক।
প্রোগ্রাম ম্যানেজার আব্দুস ছালামের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিপিটিইউ এর মিডিয়া ও কমিউনিকেশন গোলাম শাহনি। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা খোদেজা খাতুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হাসান মোহাম্মদ নাসের রিকাবদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রভাংশু সোম মহান।
পরে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কে এম জহুরুল হক, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ আব্দুল্লাহ্, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নজরুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, ঠিকাদার হাবিবুর রহমান, মোঃ আব্দুর রহমান, আব্দুল কাদির ফৌজি, নজরুল হাকিম, এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার এস এম উমেদ আলী, মাছরাঙ্গা টিভির প্রতিনিধি তমাল ফেরদৌস দুলাল, এখন টিভির প্রতিনিধি এম এ হামিদসহ অনেকে।
কর্মশালায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক, বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধি, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধিসহ ৭০ জন উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় ই-জিপি’র বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন তারা।
প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব), সিপিটিইউ প্রোগ্রাম, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় মোঃ শামিউল হক, জানান, ২০১১ সালের ২ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-জিপি’র উদ্বোধন করেন। এসময় মাত্র চারটি প্রতিষ্ঠান এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ, পল্লী বিদ্যুাতায়ন বোর্ড ও পানি উন্নয়ন বোর্ড নিয়ে ই-জিপি’র মাধ্যমে টেন্ডারিংয়ের সুচনা হয়। বর্তমানে ১ হাজার ৪২১টি সংস্থা এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত আছে। ক্রয়কারী সংস্থার অফিস রয়েছে ১১ হাজার। এটাকে আরও গতিশীল ও সময়োপযোগী করে গড়ে তুলতে নেয়া হচ্ছে নানা প্রদক্ষেপ। তিনি বলেন, সরকারের মূল বাজেটের ৩০ শতাংশই সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত কাজে ব্যয় হয়। আর ই-জিপি’র মাধ্যমে ব্যয় হয় ৬৫ শতাংশ।

