মনজু চৌধুরী: মৌলভীবাজারে তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে অনেকেই সারা দিন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। টানা বৃষ্টিতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে বের হয়েছেন কাজের সন্ধানে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

আজ বুধবার মৌলভীবাজারে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনির’ প্রভাবে ভোররাত থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হয়। তবে টানা বর্ষণের মধ্যেও নিম্ন আয়ের মানুষ স্ব-স্ব কাজে বের হন। টানা বৃষ্টিতে ভেজা কাপড়েই যাত্রী বহন করছিলেন রিকশাচালক রমজান মিয়া। তিনি বলেন, ‘সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৫০ টাকা রোজগার হয়েছে, বাকি দিনে কি যে হবে! ভাড়ায় রিকশা চালায়, মালিককে কী দেব, নিজে কী নেব।’

আশিক মিয়া শহরের চৌমোহনায় রাস্তার পাশে পত্রিকা বিক্রির সঙ্গে লেবু ও বিভিন্ন ফল বিক্রি করেন। তিনি বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে মানুষজন কম। আমরা দিনে যা আয় করি, তা দিয়ে চলি। বৃষ্টির কারণে ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে।

রোজকার মতো প্রতিদিন কোর্ট রোডে ভ্যানে করে ফল বিক্রি করেন হরিলাল। তিনি বলেন, ‘টানা বৃষ্টির মধ্যে বিক্রি হচ্ছে না। প্রতিদিন ৫০০-৭০০ টাকা আয় হতো। এখন ১০০ থেকে ২০০ টাকা হচ্ছে। তা-ও একটু কমলে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে বিক্রি করি।’

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জামাল মিয়া বলেন, ‘যা কিছু হয় সব গরিবের ক্ষতি হয়, ধনীর কিছু হয় না। বন্যা হলে, বৃষ্টি হলে, করোনা হলে, খরা এলে গরিব মরে। আমার চা-পানের দোকানে বিক্রি একেবারে কম।’

আক্ষেপ করে জামাল বলেন, ‘আজ ব্যবসা শেষ, এই বৃষ্টির মধ্যে ক্রেতা আসবে না। ক্ষতি হয়ে গেল।’

দিনমজুর ছাদ মিয়া বলেন, ‘ভোর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সকালে হয়তো বৃষ্টি কমবে, সেই আসা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছি। সকাল পেরিয়ে দুপুর হতে যাচ্ছে, এখনো কোনো কাজ পাইনি। তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *