ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: এসএমপির দক্ষিণ সুরমার চাঞ্চল্যকর ক্লুলেন্স হত্যা মামলায় জড়িত দুইজন আসামীকে সিলেটের মোগলাবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!গত বুধবার (১০ জুন ২০২০ইং) দুপুর ৩টায় এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ ধোপাঘাট এলাকার রাস্তার পাশে বস্তাবন্দি এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে। তার আনুমানিক বয়স ৩৮। ধারণা করা হয় দুর্বৃত্তরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে উল্লিখিত স্থানে ফেলে যায়। পরবর্তীতে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
মৃতদের আঙুলের ছাপ পরীক্ষা করে জানা যায় যে, নিহত ব্যক্তি সিলেট জেলার বালাগঞ্জ এলাকার ইউনুস আহমদ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভিকটিমের ছোট ভাই গত বৃধবার (১১ জুন ২০২০ইং) দক্ষিণ সুরমা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন ।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের তদন্ত থানা পুলিশের পাশাপাশি র্যাব-৯ মামলাটির ছায়াতদন্ত শুরু করে।
মামলার সূত্র ধরেই ১২ জুন ২০২০ ইং তারিখ ভোর ৪টায় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯ এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আবু মুসা মোঃ শরীফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সামিউল আলম সহ একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এসএমপির মোগলাবাজার থানাধীন শ্রীরামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মোছাঃ মৌসুমী বেগম (২৩) ও তার স্বামী রুহুল আমিন(৩৫) নামের ২জনকে আটক করা হয়।
এসময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদ্বয় হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। মূলত ভিকটিম ইউনুস আহমদ শামীম (৩৮) মৌসুমী বেগমকে উত্যক্ত করায় এবং অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চাপ প্রদান করায় প্রতিশোধ হিসাবে তাকে হত্যা করা হয় বলে জানান আসামীরা।
এতে মৌসুমী বেগমের স্বামী রুহুল আমীন ও বন্ধু পলাতক আসামী শাহেদ এই হত্যা পরিকল্পনাও বাস্তবায়ন করে। গত ১০ জুন ২০২০ ইং তারিখে ভিকটিম মৃত ইউনুস আহমদ শামীমকে বিয়ানীবাজার নিজ বাড়িতে আসতে বলে। ঐসময় অনুমানিক রাত ১টায় বিয়ানীবাজারে তাকে হত্যাকান্ড করে তার মৃতদেহ বস্তাবন্দী করে সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় ফেলে রেখে যায়।
উক্ত আরো ১জন পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে।

