ডায়াল সিলেট ডেকস
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!দুলাল মিয়া ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের একটানা তিনবারের নির্বাচিত সদস্য (মেম্বার) এবং যুবদলের ইউনিয়ন শাখার সাবেক সভাপতি। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে বাংলাদেশ রেলওয়ের সংরক্ষিত এলাকার রোপওয়ে বাঙ্কার থেকে পাথর লুটপাটের ঘটনার তদন্তে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটের অভিযোগে দুলাল মিয়া ওরফে দুলা নামের ইউপি সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে বরখাস্তের আদেশ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের কাছে পৌছায়। এর আগে ১৪ জুলাই এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এ আদেশ দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ১নং ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. দুলাল মিয়ার সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থি বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনে তাকে তার ওয়ার্ড সদস্য পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ওয়ার্ড সদস্য দুলালের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটের বিষয়ে অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় সিলেটের জেলা প্রশাসক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তার বিরুদ্ধে উল্লিখিত অভিযোগ দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন নাহারের জানান, দুলাল মিয়ার বিরুদ্ধে রোপওয়ের সংরক্ষিত এলাকার (বাঙ্কার) পাথর লুটপাটের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মন্ত্রণালয় তাকে বরখাস্ত করেছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের ভোলাগঞ্জ থেকে সুনামগঞ্জের ছাতক পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়ের একমাত্র রোপওয়ে (রজ্জুপথ)। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির পাশে রোপওয়ের লোডিং স্টেশনের বাঙ্কার এলাকা পড়েছে। পাথর পরিবহনে স্থল ও জলযানের বিকল্প হিসেবে ১৯৬৪ সালে ভোলাগঞ্জ থেকে ছাতকে রোপওয়ে স্থাপন করা হয়। ১১৯টি খুঁটির মাধ্যমে তৈরি হয় রোপলাইন। এর মধ্যে রয়েছে ভোলাগঞ্জ লোডিং স্টেশন (বাঙ্কার) ও ছাতক খালাস স্টেশন।
রোপলাইন আশির দশক পর্যন্ত নিয়মিত চলাচল করলেও পরবর্তীতে অনিয়মিত হয়ে পড়ে। ৩৫৯ একর জায়গায় সংরক্ষিত রোপওয়ে বাঙ্কারে গত বছরের ৫ আগস্ট পর থেকে লুটপাট চলে। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল জোনের সরেজমিন তদন্তে বলা হয়, রোপওয়ের বিভিন্ন স্থাপনার মূল্যবান যন্ত্রপাতি ছাড়াও সংরক্ষিত এলাকা থেকে শত কোটি টাকার পাথর লুট হয়েছে।

