আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: যুক্তরাজ্যে ৩০০ বছরের পুরোনো একটি ঐতিহাসিক গাছ কেটে ফেলার দায়ে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে। দক্ষিণ ইংল্যান্ডে রোমান স্থাপত্যশৈলির অন্যতম নিদর্শন হাদরিয়ান দেওয়ালের পাশে, সায়কামোর গ্যাপে দীর্ঘ তিন শতক ধরে দাঁড়িয়ে ছিল গাছটি।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
১৯৯১ সালে মুক্তি পাওয়া বিখ্যাত সিনেমা ‘রবিন হুড: প্রিন্স অব থিভস’ এ গাছটি দেখানো হয়েছিল। এরপরই বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত হয়ে ওঠে এটি। ২০১৬ সালে এটি ইংল্যান্ডের সেরা গাছ হিসেবে নির্বাচিত হয়। নর্থথাম্বারল্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক কর্তৃপক্ষ সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করেছিল, কেউ যেন এটির কাছে না যান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার অ্যালিসন হকিনস নামের এক নারী গাছটিকে সবার প্রথমে কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি হাদরিয়ান দেওয়ালের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন।
ওই নারী বলেন, ঘটনাটি হুট করে বুকে তীব্র আঘাত লাগার মতো ছিল। গাছটি এমন একটি আইকনিক দৃশ্য ছিল, যা সবাই দেখতে চায়। গাছটি যদি প্রাকৃতিকভাবে মারা যেত, তাহলে কিছু মনে হতো না। কিন্ত মানুষের দ্বারা এমন কাজ, ক্ষমার অযোগ্য।

জানা যায়, ঘটনা জানতে পারার পরই ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ গাছটি কাটার দায়ে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরকে আটক করে নর্থথামব্রিয়া পুলিশ। বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে স্থানীয় পুলিশ বলেছে, গাছটি একটি বিশ্ববিখ্যাত ল্যান্ডমার্ক ছিল। এটি কেটে ফেলার বিষয়টি স্থানীয় মানুষসহ সবাইকে অবাক ও ক্ষুব্ধ করেছে।
এদিকে, ন্যাশনাল ট্রাস্ট বলেছে, সায়কামোরের এমন ক্ষতিতে আমরা মর্মাহত ও দুঃখিত। গাছটি প্রায় ২০০ বছর ধরে ওই জায়গাটির একটি গুরুত্বপূর্ণ ও আইকনিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছিল।
-সূত্র: বিবিসি

