ডায়ালসিলেট ডেস্কঃঃ রয়টার্সের টালি অনুযায়ী রোববার দেশটি উদ্বেগজনক এই মাইলফলক পার হয়।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!রয়টার্সের তথ্যে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে মহামারী আরও দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে, ৮ নভেম্বর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি পার হয়েছিল, তারপর মাত্র আট দিনে রোগী বেড়েছে আরও ১০ লাখ।
মহামারী শুরু হওয়ার পর এ পর্যায়েই দেশটিতে সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে এত বেশি পরিমাণ রোগী শনাক্ত হল। এর আগে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯০ লাখ থেকে এক কোটিতে পৌঁছতে ১০ দিন সময় লেগেছিল আর তারও আগে ৮০ লাখ থেকে ৯০ রাখে পৌঁছতে লেগেছিল ১৬ দিন।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে টানা ১১ দিন ধরে দৈনিক লাখের ওপরে রোগী শনাক্ত হচ্ছে। সর্বশেষ সাত দিনের গড় থেকে দেখা যাচ্ছে, এ সময় দেশটিতে প্রতিদিন এক লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে আর মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ১২০ জনের; বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়ে এ সংখ্যা অনেক বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল দুই রাজ্য, ক্যালিফোর্নিয়া ও টেক্সাসেই সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই দুই রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ২১ লাখ; রয়টার্সের বিশ্লেষণ অনুযায়ী এ সংখ্যা দেশটির মোট আক্রান্তের ১৯ শতাংশ।
তবে জনসংখ্যার তুলনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত পাওয়া গেছে নর্থ ডেকোটা, সাউথ ডেকোটা, উইসকনসিন, আইওয়া ও নেব্রাস্কায়। যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলোর মধ্যে এই পাঁচটি রাজ্যের মহামারী পরিস্থিতিই সবচেয়ে নাজুক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশটির অনেকগুলো রাজ্য মাস্ক পরা, বাড়িতে অবস্থান করা সহ বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে।
দেশটিতে কোভিড-১৯ জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাগুলো সক্ষমতার শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বলে সতর্ক করে নিবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শীর্ষ উপদেষ্টা মহামারী নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।

