Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: বৈধ নথিপত্র ছাড়া বসবাসের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩০ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের বহনকারী একটি উড়োজাহাজ অবতরণ করে।
ইমিগ্রেশনের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ফেরত আসা অভিবাসীদের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন। তারা হাতে হাতকড়া, পায়ে শেকল বাঁধা অবস্থায় ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি উড়োজাহাজ বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তিন ঘণ্টা বিমানটি রানওয়েতে ছিল। রাত ২টার দিকে আরোহীদের হাতকড়া ও শিকল খুলে দেওয়া হয়। পরে তাদের কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল এরিয়ায় নেওয়া হয়। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ টিম, কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ টিম এবং যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বেসরকারি একটি সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের বাড়ি পৌঁছানোর জন্য অর্থসহায়তা দেওয়া হয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর বৈধ নথিপত্র ছাড়া অবস্থানরত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৮৭ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হলো বলে এসবি সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি একটি সংস্থার কর্মকর্তা বলেন, উন্নত জীবনের স্বপ্ন নিয়ে মানুষ অভিবাসী হতে চাইবেন, এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। একই সঙ্গে গন্তব্য দেশ চাইলে তাদের ফিরিয়েও দিতে পারে। তবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাতকড়া পরিয়ে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আশা করি, যুক্তরাষ্ট্র আগামীতে প্রত্যাবাসন করলে মানবিক দিকগুলো গুরুত্ব সহকারে দেখবে।
মার্কিন আইন অনুযায়ী, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করলে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। সেখানে অনেকের বিরুদ্ধে মামলা আছে। এসব বাংলাদেশি মেক্সিকোসহ ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ হয়ে বাংলাদেশি দালালদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করে। বাংলাদেশিরা জনপ্রতি ৩০ থেকে ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত দালালদের পেছনে খরচ করে তারা।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্রে আইনি লড়াইয়ে হেরে যাওয়া ব্যক্তিদেরই দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। যাদেরকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে, তাদের বিষয়ে আগেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হচ্ছে।
