আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম, আল জাজিরা জানিয়েছে, কাতারের মধ্যস্থ্যতায় যে কোনো সময় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে পারে হামাস ও ইসরায়েল। সংবাদমাধ্যটির একটি সূত্র দাবি করেছে, দুই পক্ষের মধ্য যুদ্ধবিরতির আলোচনা অনেকটা এগিয়েছে। যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি বন্দি বিনিময় করতেও রাজি হতে পারে হামাস-ইসরায়েল।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
কাতারের দোহা ইনস্টিটিউটের ইব্রাহিম ফ্রাইহাত আল জাজিরাকে বলেছেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনার খবর বিশাল বড় একটি ঘটনা। এখন দেখার বিষয় হলো, এটি কি কোনো মানবিক যুদ্ধবিরতি নাকি এর মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাবে।
ইব্রাহিম ফ্রাইহাত আরও বলেন, আমরা জানি ইসরায়েল যে কোনো ধরনের যুদ্ধবিরতি শক্তভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। এমনকি তারা মানবিক যুদ্ধবিরতি দিতেও রাজি নয়। বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা মানবিক যুদ্ধবিরতির কথা বললেও, সেটাতে তারা জোর দিয়ে কিছু বলেননি। ফলে যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলের উপর তেমন কোনো চাপ নেই।
আল জাজিরা জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিসারা বলছেন, গাজায় স্থল আক্রমণের প্রভাব নিয়ে মার্কিন উদ্বেগ ও আন্তর্জাতিক মহল থেকে সৃষ্ট চাপের কারণে যুদ্ধবিরতিতে যেতে চাইতে পারে ইসরায়েল। তাছাড়া জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে গাজা আক্রমণ বন্ধ রাখার জন্য খোদ ইসরায়েলিরাই সরকারকে চাপ দিতে শুরু করেছে। আর কাতার এখানে শক্তিশালী মধ্যস্ততাকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, যারা যুদ্ধবিরতির গ্যারান্টি দেবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার হামাস জানিয়েছিল যুদ্ধবিরতি ছাড়া ইসরায়েল থেকে জিম্মি করে নিয়ে আসা ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। রাশিয়া সফররত সংগঠনটির শীর্ষ নেতা আবু হামিদ রুশ গণমাধ্যম কমেরসান্তকে এ তথ্য জানান।
আবু হামিদ বলেন, আমাদের উপদলের কাছে আটক ইসরায়েলিদের খোঁজ পেতে সময় লাগবে। শত শত মানুষকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। ইসরায়েলের প্রধান সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, গাজা উপত্যকায় বর্তমানে ২২৯ জনকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে।
তিন সপ্তাহ ধরে গাজায় ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গত ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু ৬৬ শতাংশ।
-সূত্র: আল জাজিরা

