আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ১৯৯০-এর দশকে নিউইয়র্কের একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরে একটি ম্যাগাজিনের কলামিস্টকে যৌন আক্রমণ করার জন্য ডেনাল্ড ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ম্যানহাটনের একটি জুরি।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
ম্যানহটন ফেডারেল আদালতের জুরিরা মঙ্গলবার এই রায়ে বলেছেন, অভিযোগকারী ক্যারলকে ‘মিথ্যাবাদী’ আখ্যা দিয়ে তার মানহানিও করেছেন ট্রাম্প। এসব অপরাধে ক্যারলকে ৫০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে ট্রাম্পকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রায়ের পর এক বিবৃতিতে ক্যারল (৭৯) বলেছেন, “বিশ্ব আজ চূড়ান্তভাবে সত্যটা জানতে পারল। এই জয় শুধু আমার না, তাদের বিশ্বাস করা হয়নি বলে দুর্ভোগ পোহানো প্রত্যেকটি নারীর।” তবে এই বিচারকে একটি ‘কলঙ্ক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন মি. ট্রাম্প। ট্রাম্প আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এই দেওয়ানি মামলার বিচার চলাকালে ক্যারল আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে বলেন, ১৯৯৫ অথবা ১৯৯৬ সালে ট্রাম্প ম্যানহ্যাটনের বার্গডর্ফ গুডম্যান ডিপার্টমেন্ট স্টোরের ড্রেসিং রুমে তাকে ‘ধর্ষণ’ করেছিলেন, এরপর ২০২২ এর অক্টোবরে (ট্রাম্প) তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে করা এক পোস্টে ক্যারলের অভিযোগকে ‘পুরোপুরি প্রতারণা’, ‘ধাপ্পাবাজি’ ও ‘মিথ্যা’ আখ্যা দিয়ে তার মর্যাদাহানি করেছেন। রায়ে ট্রাম্পকে যৌন হয়রানির দায়ে জরিমানা করা হলেও ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি। এটি একটি দেওয়ানি মামলা হওয়ায় ট্রাম্পকে জেলে যেতে হবে না। ২৫ এপ্রিল এ মামলার শুনানি শুরু হওয়ার পর ট্রাম্প বিচারের পুরোটা সময় অনুপস্থিত ছিলেন।
আদালতের সিদ্ধান্তের পর প্রতিক্রিয়ায় নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্লাটফর্মে ট্রাম্প এ রায়কে ‘অপমান’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, “আমার একেবারেই জানা নেই কে এই নারী।”
জুরি দলে ছয়জন পুরুষ ও তিনজন নারী ছিলেন। তারা তিন ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে একটি সর্বসম্মত রায়ের বিষয়ে সম্মত হন এবং ক্যারলকে ৫০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ ও শাস্তিমূলক জরিমানা দিতে ট্রাম্পকে নির্দেশ দেন।

