কুমিল্লার কাছে পাত্তাই পেলো না ঢাকা

স্পোর্টস ডেস্ক :: ফরচুন বরিশালের ব্যাটাররাই অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিলেন। ২৩৯ রানের বিশাল লক্ষ্য, টি-টোয়েন্টিতে তাড়া করা তো প্রায় অসম্ভবই। রংপুর রাইডার্স তাড়া করতে পারলোও না। হারলো বড় ব্যবধানে।
রংপুরকে ৬৭ রানে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানটা আরও শক্ত করেছে সাকিব আল হাসানের দল। সাকিবদের বড় রানের জবাবে ৯ উইকেটে ১৭১ রানে থামে শোয়েব মালিকের দল। লজ্জাটা আরও বড় হতে পারতো। ৭৮ রানেই যে ৬ উইকেট হারিয়ে বসেছিল তারা।
রংপুরের কেউ ফিফটিও করতে পারেননি। আট নম্বরে নেমে শামীম পাটোয়ারী ২৪ বলে ৩ চার আর ৪ ছক্কায় খেলেন অপরাজিত ৪৪ রানের ইনিংস। এছাড়া নাইম শেখ ১৮ বলে ৩১ আর মোহাম্মদ নওয়াজ ২৪ বলে করেন ৩৩ রান।
মেহেদি হাসান মিরাজ ২৬ রানে নেন ৩টি উইকেট। দুটি করে উইকেট শিকার মোহাম্মদ ওয়াসিম আর কামরুল ইসলাম রাব্বির।
এর আগে সাকিব আল হাসান আর ইফতিখার আহমেদ মিলে রীতিমত টর্নেডো তোলেন চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। দুজন মিলে গড়েন ১৯২ রানের অবিশ্বাস্য এক জুটি।
ইফতিখার সেঞ্চুরি করলেন মাত্র ৪৫ বলে। সাকিবও কম যাননি। ৪৩ বলে ৮৯ রানের এক দানবীয় ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। এই যুগলের ব্যাটে চড়ে ৪ উইকেটে ২৩৮ রানের পাহাড় গড়ে ফরচুন বরিশাল।
এটি যৌথভাবে বিপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। সর্বাধিক দলগত সংগ্রহ রংপুর রাইডার্সের। ২০১৯ সালে জহুর আহমেদেই চট্টগ্রাম ভাইকিংসের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২৩৯ করেছিল দলটি। এছাড়া চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সেরও ২৩৮ (৪ উইকেটে ) রান আছে। সেটাও ২০১৯ সালের বিপিএলে, কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে।
বৃহস্পতিবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লের মধ্যে ৪৬ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল ফরচুন বরিশাল। সেখান থেকে অবিশ্বাস্য জুটি সাকিব-ইফতিখারের। ৮৬ বলে ১৯২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তারা।
ইফতিখারের ৪৫ বলে ১০০ রানের ইনিংসে ছিল ৬টি চারের সঙ্গে ৯টি ছক্কার মার। ৪৩ বলে ৮৯ রান করতে সাকিব ৯টি বাউন্ডারির সঙ্গে হাঁকান ৬টি ছক্কা।
তবে এমন রানবন্যার ইনিংসেও ভালো বোলিং করেছেন রংপুরের পেসার হাসান মাহমুদ। ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন তিনি। হারিস রউফ ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

কুমিল্লার কাছে পাত্তাই পেলো না ঢাকা

কুমিল্লার কাছে পাত্তাই পেলো না ঢাকা

উইকেট হাতে রেখেও বড় রান তাড়া করতে পারলো না নাসির হোসেনের ঢাকা ডমিনেটর্স। ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স জিতলো হেসেখেলে।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার বিপিএলে দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকাকে ৩৩ রানে হারিয়েছে ইমরুল কায়েসের দল। ৬ ম্যাচে এটি কুমিল্লার তৃতীয় জয়। পাঁচ ম্যাচে নাসির হোসেনের ঢাকা হারলো চারটিতেই।
লক্ষ্য ছিল ১৮৫ রানের। বড় রান তাড়ায় প্রথমেই ধাক্কা খায় ঢাকা। সৌম্য সরকার আর রবিন দাস-দুজনই ফেরেন শূন্য রানে। আহমেদ শেহজাদ করেন ১৭ বলে ১৯।
মোহাম্মদ মিঠুন হাল ধরার চেষ্টা করলেও তার ৩৪ বলে ৩৬ রানের ইনিংসটি ঠিক টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানানসই ছিল না। অধিনায়ক নাসির হোসেন চেষ্টা করেছেন, তবে সেটা দলের কাজে আসেনি।
৪৫ বলে ৭ চার আর ২ ছক্কায় ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন ঢাকা অধিনায়ক। ১৭ বলে ২৪ করে তার সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন আরিফুল হক। ৪ উইকেটে ১৫১ রানে থামে ঢাকা।
এর আগে খুশদিল শাহ রীতিমতো তাণ্ডব চালালেন ঢাকা ডমিনেটর্স বোলারদের ওপর। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি করে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেললেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। বিপিএলে আজ দিনের প্রথম ম্যাচে দুই পাকিস্তানির ব্যাটে চড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স পায় ৪ উইকেটে ১৮৪ রানের বড় পুঁজি।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য শুরুটা একদমই ভালো ছিল না কুমিল্লার। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ডাক মেরে তাসকিনের বলে ফেরেন লিটন দাস।
তবে এর পরের ব্যাটাররা দারুণ খেলেছেন। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ২৬ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় করেন ৩৩ রান। জনসন চার্লস করেন ১৯ বলে ২০।
খুশদিল আর রিজওয়ান এরপর গড়েন ৯০ রানের জুটি। খুশদিল মাত্র ১৮ বলেই তুলে নেন ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের এক ওভার বাকি থাকতে আউট হন তিনি। ২৪ বলে গড়া তার ৬৪ রানের ইনিংসে ছিল ৭টি চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কার মার।
রিজওয়ান অপরাজিত থাকেন শেষ পর্যন্ত। ৪৭ বলে তার ৫৫ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসে একটি চারের সঙ্গে ছিল ৩টি ছক্কা।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *