মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের তেঘড়ি গ্রামের চাঞ্চল্যকর নাজমুল হত্যার মামলার আসামী আব্দুল খালিক এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নির্যাতন থেকে আপন মা ও ভাইয়েরা রক্ষা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। বৃদ্ধ মাকে করছেন নির্যাতন, ভাইদের চলা চলের রাস্তা করে রেখেছেন বন্ধ। এলাকার কেহ তার ভয়ে কোন প্রতিবাদ করেন না। তার উপর রয়েছে মা ভাইর মামলা ও অপর একটি চাঞ্চল্যকর হত্যার মামলা সহ অসংখ্য মামলা। ইদানিং তাদের বসত ঘরের পূর্ব ও পশ্চিমের গেইটে তালা মেরে মা ভাইদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে বাড়ি থেকে গবাদি পশু সহ মানুষ চলাচলে মারাত্নক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এব্যাপারেও আদালতে মামলা হলে তা তদন্তাধিন আছে। অভিযুক্ত আব্দুল খালিকের মা নুরজান বিবি(৮৬) বলেন, আমার ৬ ছেলের মধ্যে আব্দুল খালিক খারাপ রাস্তায় চলে গেছে। সে একটি খুনের সাথে জড়িয়ে পড়ে। এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তির কথাবার্তা শুনেনা। আমার আরো ৫ ছেলের মো: আব্দুল হক, আনিছুর রহমান, মাসুকুর রহমান, মানিক মিয়া, আতাউর রহমান সাথে তুচ্ছ বিষয় ও জমি জমা নিয়ে সব সময় ঝগড়া বিবাদ করে। এমনকি কিছু দিন পুর্বে তাদেরে মেরে মারাত্নক ভাবে আহত করেছিল। এব্যাপারে আদালতে মামলা হলে সে জেলে যায় । এক সময় তার স্ত্রী রেবা বেগম ও সে আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। আমি আদালতে মামলা দেওয়ার পর জেল খেটে মুসলেকা দিয়ে বাহির হয়ে স্থানীয় মুরব্বিয়ানের মাধ্যমে বিষয়টি শেষ হয়। বর্তমানে সে বাড়ির গেইটে তালা মেরে চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। যার ফলে আমরা ও গরু বাছুর বাড়ি থেকে বাহির হতে পারছিনা। আমার ফলের গাছ থেকে ফল পাড়ে কিন্তু আমাকে একটি ফলও দেয় না। আমি বসে বসে দেখি। কোন প্রতিবাদ করতে পারিনা। আমরা তার নির্যাতনে নিরাপ্তাহীনতায় আছি। এব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুল খালিক বলেন, আমি প্রবাসে থেকে রুজি করে জমি ক্রয় করেছি। এই জমির সঠিক অংশ আমাকে ভাইয়েরা দিচ্ছেনা। মাকে নির্যাতনের বিষয় বলেন, মা ওদের পক্ষপাতিত্ব করেন। তাই মায়ে সাথে ঝগড়া হয়।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
