মনজু বিজয় চৌধুরী॥  রাজনগরে নন্দিউড়ায় বাবার বাড়ি আটক মাকে ফিরে পাওয়ার আশায় অবুজ ২টি শিশু ও স্বামী অপেক্ষার প্রহর গুনছে। মায়ের øেহ থেকে বঞ্চিত হয়ে পিতার লালন পালনে বড় হচ্ছে। আহাজরি করছে মায়ের øেহ ভালবাসার জন্য। সমাজ সামাজিকতার দোহাই দিয়ে সাড়ে তিন বছর তাদের মাকে মামার বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে। নন্দিউড়া গ্রামের মৃত অচিন্ত কুমার সেনের পুত্র নারায়ন সেন একি গ্রামের নির্মাল্য অর্জ্জুন নান্টু মেয়ে তনুশ্রী অর্জ্জুনের সাথে প্রেম ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২০১১ সালে কোর্টে এফিডেভিট করে হিন্দু রীতিনীতি মতে মন্দিরে গিয়ে তনুশ্রী সেন মুন ও নারায়ন সেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পরবর্তী সময়ে সমাজ সামাজিকতার দোহাই দিয়ে নির্মাল্য অর্জ্জুন নান্টু ও তার পরিবার এ বিয়ে মেনে নেননি । পরবর্তীতে সাবেক সমাজকল্যান মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় বিষয়টি আপোষ মিমাংসা হয়। সংসারে আসে ফুটফুটে ২টি সন্তান নবনীতা সেন নোভা ও মহান সেন দেশমুখ্য। পররবর্তীতে ২০২০ সালে নির্মাল্য অর্জ্জুন নান্ট বাড়িতেপূজার কথা বলে নিয়ে তনুশ্রী সেন মুনকে আটক করে রাখেন। এ ঘটনার পর নারায়ন সেন এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিসহ অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। নারায়ন সেন জানান, তার স্ত্রীকে তার পিতার পরিবারের লোকজন তাকে ও তার ২টি ছেলে মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে স্ত্রীকে দিয়ে তনুশ্রী অর্জ্জুন নাম ব্যবহার করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজেষ্ট্রেট আদালতে যৌতুক মামলা দায়ে করারান। এই মামলায় নারায়ন সেন নির্দোষ ভাবে খালাস পান। পরবর্তীতে তারা আবার পারিবারিক আদালতে আলাদা ভাবে থাকার অনুমতি চেয়ে মামলা করেন, জারী মামলা নং ৫/২৩। অন্যদিকে নারায়ন সেন তার ডকুমেন্ট অনুযায়ীস্ত্রীকে তার সংসারে ফেরত পাওয়ার জন একটি আবেদন করেন। এই মামলায় আদালত তনুশ্রী সেন মুনের পিতা মাতা সহ উভয় পক্ষকে কাগজ পত্র নিয়ে ২৫ জুলাই আদালতে হাজির হওয়ার জন্য আদেশ প্রদান করেন। নবনীতা সেন নোভা ও মহান সেন দেশমুখ্য কান্না জড়িত কন্ঠে বলে, তাদের আমার মাকে প্রান ণাশের ভয় দেখিয়ে মামা নিলয় অর্জ্জুনসহ পরিবারের সবাই আটকিয়ে রেখেছে। আমরা আর একা থাকতে পারছিনা। আমরা আমাদের মা বাবার আদর øেহ পেতে চাই, আমরা এক সাথে থাকতে চাই। মা আমাদের কাছে না থাকায় আমাদের লেখা পড়াসহ আমাদের জীবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমাদের মাতৃ পরিচয় নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে। আমাদের মার নাম তনুশ্রী সেন মুন। আমাদের মায়ের সাথে মামা ফোনেও কথা বলতে বা দেখা করতে দেন না। তাদরে আকুতি মা তুমি ফিরে আসো। ৫ নং ইউনিয়ন ইউপি চেয়ারম্যান, নন্দীউড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান অফিসের প্রত্যায়ন পত্রে দেখাযায়, নারায়ন সেন এর স্ত্রীর নাম তনুশ্রী সেন মুন। এব্যাপারে নিলয় অর্জ্জুনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে, তারা স্বপরিবারে সিলেট আছেন বলে জানান। তনুশ্রী সেন মুনের বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *