আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ওয়াগনার বাহিনীকে তাদের অস্ত্রশস্ত্র রাশিয়ান সেনাবাহিনীর কাছে সমর্পণ করতে হবে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাস্ট্র মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যে ওয়াগনার গ্রুপের সেনাদের ভারী অস্ত্র সামরিক বাহিনীর কাছ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

এর আগে সোমবার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে ওয়াগনার সেনাদের ভবিষ্যত নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

 

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সোমবার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন বলেন, মস্কোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহে অংশ নেওয়া ওয়াগনার সেনারা রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা অন্য নিরাপত্তা এজেন্সির সঙ্গে চুক্তি করে যোগদান করতে পারবেন। অন্যদিকে বাকি সেনারা চাইলে রাশিয়ায় তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারবেন। অথবা কেউ যদি রাশিয়ায় ফিরতে না চায় তবে প্রতিবেশী মিত্র দেশ বেলারুশেও চলে যেতে পারবেন।

 

একইসঙ্গে বিদ্রোহের সময় ওয়াগনার গ্রুপকে বিচারের আওতায় না আনার যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তিনি তা রক্ষা করবেন বলেও ভাষণে জানিয়েছিলেন পুতিন।

 

গত শনিবার ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন বিদ্রোহ ঘোষণা করে তার বাহিনী নিয়ে ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো অভিমুখে অভিযাত্রা করেছিলেন। বিদ্রোহী সেনারা ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী দক্ষিণাঞ্চলের রুশ শহর রোস্তভে অবস্থিত দক্ষিণ রাশিয়ার সামরিক দপ্তর দখল করে নেয়। একইসঙ্গে বিদ্রোহের অংশ হিসেবে রুশ শীর্ষ সামরিক নেতৃত্বের পতন ঘটানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করে গ্রুপটির একটি বহর মস্কো অভিমুখে রওনা হয়।

 

এ ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ওয়াগনার গ্রুপের ‘সশস্ত্র বিদ্রোহের প্রচেষ্টা’কে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ ও জাতির জন্য ‘হুমকিস্বরূপ’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন পুতিন। ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান প্রিগোশিনসহ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

 

পরবর্তীতে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় এক চুক্তির অধীনে বিদ্রোহের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে ওয়াগনার গ্রুপ। একইসঙ্গে রক্তক্ষয় এড়াতে মস্কোর দিকে এগোনো বন্ধ করে নিজেদের ঘাঁটিসমূহে ফিরে যেতে রাজি হয় ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান প্রিগোশিন। সমঝোতায় বলা হয়, প্রিগোশিন বেলারুশে চলে যাবেন। বিদ্রোহের কারণে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার হবে।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *