আন্তর্জাতিক ডেস্ক :লিবিয়ার ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী এলাকা থেকে বেশ কয়েকজন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃহদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মৃতদের সকলেই বাংলাদেশি নাগরিক। তবে এখনও তাদের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। লিবিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দূতাবাসের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ভূমধ্যসাগরের ব্রেগা তীর থেকে গত দুদিনে বেশ কয়েকজন অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে দূতাবাস বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছে। স্থানীয় উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষের মতে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের একটি নৌকা ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়ার পর এসব মরদেহ ব্রেগা তীরে ভেসে এসেছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!দূতাবাসের ওই ফেসবুক পোস্টে আরও জানানো হয়, উদ্ধার হওয়া মরদেহের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক থাকার আশঙ্কার কথা বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে দূতাবাস এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি। বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ করছে দূতাবাস।
শনিবার দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসব মানুষ কোন দেশের নাগরিক তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় রেড ক্রিসেন্টের ধারণা, তারা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। আর যে স্থান থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার হয়েছে সেখানে যাওয়ার অনুমতি এখনো পায়নি দূতাবাস।
মরদেহগুলোতে পচন ধরে যাচ্ছিল উল্লেখ করে দূতাবাস আরও জানিয়েছে, এসব মরদেহের সঙ্গে জাতীয়তা-সংক্রান্ত কোনো নথিপত্র পাওয়া যায়নি। পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় মরদেহগুলো ব্রেগা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে আজদাবিয়া এলাকায় দাফন করা হয়েছে। ঘটনাটি লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সরকারের অধীনস্থ এলাকায় ঘটেছে, যার প্রশাসনিক কেন্দ্র বেনগাজিতে।
তবে বাংলাদেশের দূতাবাস এখনো ঘটনাস্থলে যাওয়ার প্রয়োজনীয় অনুমতি পায়নি বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এদিকে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্মের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টের এক পোস্টে জানিয়েছেন, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল থেকে ভূমধ্যসগার উপকূলবর্তী ব্রেগার থেকে কমপক্ষে ২০ জনের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস এবং পরিবারসহ বিভিন্নসূত্রে আমরা যে তথ্য পেয়েছি তাতে আশঙ্কা করছি নিহতদের বেশিরভাগই মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের। কয়েকজন ভৈরবেরও আছেন। আমার তথ্য বলছে, আরো অন্তত তিনটি লাশ ভেসে আসতে পারে। কেননা এই দলে অন্তত ২৫ জন ছিলেন। দুজন বেঁচে আছেন বলে ধারণা করছি। তবে তারা কোথায় আছেন এখনো জানি না। ফলে কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটলো সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
গত ৩০ জানুয়ারি, বাংলাদেশের দূতাবাস তাদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছিল যে, গত দুই দিনে ব্রেগা উপকূলে বেশ কয়েকটি মরদেহ ভেসে এসেছে। তারা জানিয়েছিল, ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির পর এসব মরদেহ উপকূলে ভেসে ওঠে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে নিহত, আহত বা এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশিদের সম্পর্কে তথ্য জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দূতাবাসের ফেসবুক পেজ অথবা অফিসিয়াল মোবাইল নম্বর +২১৮৯১৬৯৯৪২০২ এবং +২১৮৯১৬৯৯৪২০৭ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন।

