স্পোর্টস ডেস্ক:: উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। শনিবার দিবাগত রাতে ফ্রান্সের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে লিভারপুলকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ১৪তম শিরোপা শোকেসে তুলেছে লস ব্লাঙ্কোসরা। জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র।
অবশ্য ম্যাচটি ছিল লিভারপুল বনাম থিবাউট কোর্তোয়ার। রিয়াল মাদ্রিদের এই গোলরক্ষক লিভারপুলের ১৯টি আক্রমণের মধ্যে অন টার্গেটে নেওয়া ৯টি শট রুখে দিয়েছেন দারুণ দক্ষতায়। তিনি যদি আজ ওয়াল হয়ে না দাঁড়াতেন তাহলে বড় ব্যবধানে হারতে পারতো রিয়াল।
তবে দুর্ভাগ্য লিভারপুলের। তারা দারুণ খেলেও জয় পায়নি। পুরো ম্যাচে প্রভাব বিস্তার করে খেলে প্রায় এক ডজন অন টার্গেটে শট নিয়েও জালের নাগাল পায়নি। তাতে করে ২০১৮ সালের মতো ২০২২ সালেও রিয়ালের কাছে হেরে রানার্স-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।
ম্যাচের ১৭ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল লিভারপুল। এ সময় ডানদিক থেকে ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ড ক্রসে বল বাড়িয়ে দেন সালাহকে। তার প্লেসিং শট কোনোরকমে শুয়ে পড়ে ঠেকান থিবাউট কোর্তোয়া।
পরের মিনিটেই লুইজ দিয়াজ সুযোগ পেয়েছিলেন গোল করার। কিন্তু তার নেওয়া অন টার্গেটের শট ধরে ফেলেন কোর্তোয়া।
২১ মিনিটে গোলের আরও একটি সুযোগ পেয়েছিল লিভারপুল। এ সময় থিয়াগো আলকানতারা বল বাড়িয়ে দেন সাদিও মানেকে। মানের নেওয়া শট ধরতে পারেননি কোর্তোয়া। বল পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
৩৪ মিনিটে সালাহর আরও একবার গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। এ সময় ডানদিক থেকে ক্রসে বল বাড়িয়ে দেন আর্নল্ড। বল খুঁজে পায় সালাহকে। তিনি সুবিধামতো হেড নেন। কিন্তু তার নেওয়া হেড সরাসরি কোর্তোয়ার হাতে জমে যায়।
৪৩ মিনিটে বল জালে জড়ায় রিয়াল। এ সময় প্রথম প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হলেও জটলার মধ্যে বল পেয়ে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় জালে জড়িয়ে দেন করিম বেনজেমা। কিন্তু অফসাইড কল করা হয়। এরপর ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) সময় নিয়ে চেক করেন। শেষ পর্যন্ত গোলটি বাতিল হয়। তাতে গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
বিরতি থেকে ফিরে গোল পেয়ে যায় রিয়াল। ৫৯ মিনিটে ডান দিয়ে বল পেয়ে পাল্টা আক্রমণে যান ফেদেরিকো ভালভার্দে। বল নিয়ে তিনি ডানদিক দিয়ে ঢুকে পড়েন বক্সে। এরপর বামদিকে থাকা ভিনিসিউস জুনিয়রকে বাড়িয়ে দেন। ভিনিসিউস ডান পায়ে শটে কাছের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান। অ্যালিসন বেকার কোনোপ্রকার সুযোগই পাননি বল ধরার।
এই গোল করার মধ্য দিয়ে ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড হয়ে যান একমাত্র খেলোয়াড়, যার জন্ম ২০০০ সালের পরে কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে গোল করেছেন।
৬৯ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন মোহাম্মদ সালাহ। এ সময় দিয়েগো জতার হেড থেকে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে যান তিনি। ডানকোণা দিয়ে মিশরীয় এই ফুটবলার চেষ্টা করেন বল জালে জড়ানোর। কিন্তু দেয়াল হয়ে ওঠা কোর্তোয়া আবাও রক্ষা করেন রিয়ালকে।
৮২ মিনিটে আবারও সালাহ, আবারও কোর্তোয়া। এ সময় ফাবিনহোর ক্রস থেকে সালাহ বক্সের মধ্যে বল পেয়ে যান। রক্ষণভাগের খেলোয়াড়কে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যান। তার সামনে ছিলেন কেবল কোর্তোয়া। শট নেন সালাহ, বল কোর্তোয়ার পায়ে লেগে বল বাইরে চলে যায়।
গোল মিসের মহড়ায় শেষ পর্যন্ত ১-০ ব্যবধানের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় জার্গেন ক্লপের শিষ্যদের। আর বীরের বেশে রেকর্ড ১৪তম শিরোপা জিতে মাঠ ছাড়ে কার্লো আনচেলোত্তির শিষ্যরা।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *