ডায়াল সিলেট ডেস্ক ॥ শ্রীমঙ্গলে চাম্পালাল মুন্ডার হত্যাকারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটকৃত আসামী বিশ্ননাথ তাঁতী (৪৫) কে কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখলা চা বাগান থেকে সোমবার সকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আটক করে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শহীদুল হক মুন্সী শ্রীমঙ্গল থানায় এক প্রেস বিফ্রিং এ জানান, গত রোববার ১৪ মে শ্রীমঙ্গল ডলু ছড়া জনক বর্মার মালিকানাধীন লেবু বাগানে কমলগঞ্জ উপজেলার পদ্ধ ছড়া চা বাগানের মৃত রামজি মুন্ডার ছেলে চম্পা লাল মুন্ডা (৩৭) কে বা কারা আহত করে ফেলে যায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ওই দিন সকাল বেলা মারা যান। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশ্ব নাথ তাঁতীকে কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্র খলা চা বাগান থেকে আটক করতে সক্ষম হয়।
বিফ্রিং-এ তিনি জানান, বিশ্বনাথ তাঁতী পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, চম্পালাল মুন্ডা ও উপজেলার হুসনাবাদ চা বাগানের রবীন্দ্র তাঁতীর ছেলে বিশ্বনাথ তাঁতী ডলু ছড়া জনক বর্মার লেবু বাগানে শ্রমিকের কাজ করতো। এই সুবাদে চম্পালাল মুন্ডার ঘরে বিশ্বনাথ তাঁতী যাওয়া আসা করতো। ফলে চম্পা লাল মুন্ডার বাকপ্রতিবন্ধীর স্ত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে বিশ্বনাথ তাঁতীর। ঘটনার দিন বিশ্বনাথ তাঁতী সকাল বেলা দেখতে পায় চম্পা লাল মুন্ডা ও তার স্ত্রী একই বিছানায় শুয়ে থাকতে। এতে সে হিতাহিতজ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে সে কাঠের লাটি দিয়ে চম্পা লালকে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে গুরুতরভাবে জখম করে পালিয়ে যায় বলে সে পুলিশের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে ওই দিন সকাল ৮ টায় চম্পা লাল মুন্ডা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় পুলিশ বিশ্বনাথ তাঁতীকে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি আদায়ের জন্য প্রেরণ করা হবে বলে তিনি জানান।
প্রেস বিফ্রিং এ সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম সরদার, ওসি তদন্ত আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

