ডায়ালসিলেট ডেস্ক :প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলতে থাকবে। নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ মূলত নির্বাচন কমিশনের। নাগরিকদের নির্বাচনের তারিখ না পাওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়ায় সময় দিতে হয় না, কিন্তু সংস্কারের কাজে সকল নাগরিককে অংশগ্রহণ করতে হবে।’

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

শুক্রবার সকালে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশে (কেআইবি) দুইদিন ব্যাপী জাতীয় সংলাপে ভিডিও বার্তায় উদ্বোধনী বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ (এফবিএস)-এর আয়োজনে ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে এই জাতীয় সংলাপ শুরু হয়।

সংস্কার কার্যক্রমে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা ভোটার তারা তো অংশগ্রহণ করবেনই, তার সঙ্গে ভবিষ্যতে যারা ভোটার হবেন তারাও সর্বাত্মকভাবে সংস্কারের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করুন।’

এ সময় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ে সকল যোদ্ধাদের স্মরণ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ছাত্র-জনতাকে অভিবাদন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা আহত হয়েছেন, চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন, যাদের অঙ্গহানি হয়েছে তাদের প্রতি আমাদের ঋণ শোধ হওয়ার নয়। নতুন বাংলাদেশ গঠনে তাদের প্রেরণা ও অবদান জাতি কখনো ভুলতে পারবে না। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের রূপান্তর পর্বে প্রবেশ করার অধিকার অর্জন করেছি। এই রূপান্তর দ্রুত সফলভাবে কার্যকর করার জন্য আমাদেরকে সকল শক্তি নিয়োজিত করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে হবে। পেছনে ফেরার সুযোগ আমাদের নেই। আমাদের এই কাঙ্ক্ষিত রূপান্তরের লক্ষ‍্য হবে সকল ধরনের বৈষম্য অবসানের রাজনৈতিক আয়োজন নিশ্চিত করা, এদেশে গণতান্ত্রিক ও নাগরিক সমতা ভিত্তিক একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।’

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এমন অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে, যেখানে সকল নাগরিকের জন্য সম্পদের ও সুযোগের বৈষম্যহীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করবে। যত নিম্ন আয়ের পরিবারেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন, প্রতিটি নাগরিকের অর্থাৎ নারী হোক, পুরুষ হোক তিনি যেন বিনা বাধায় তো বটেই, বরং রাষ্ট্রের আয়োজনে তার সৃজনশীলতা প্রকাশ করে যেকোনো পর্যায়ে উদ্যোক্তা হতে পারেন।’

তিনি বলেন, ‘ন্যায়ভিত্তিক সমাজ নির্মাণ ছাড়া জুলাইয়ের শহীদদের আত্মদান অর্থবহ হতে পারে না।‍ ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশকে আদর্শভিত্তিক সকল রকমের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করে গভীর অন্ধকারের দিকে আমাদেরকে নিয়ে গিয়েছিল। আমরা আবার প্রিয় বাংলাদেশকে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের পথে ফেরাবার লক্ষ্যে কাজ করছি।’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *