ডায়াল সিলেট ডেস্ক:-

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোছা. সুলতানা পারভীনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এক সাংবাদিককে হয়রানিমূলকভাবে মধ্যরাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হলো।

এ সংক্রান্ত মামলায় আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ সেপ্টেম্বর ওএসডি যুগ্ম-সচিব সুলতানাকে বরখাস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সুলতানা পারভীন গত ২ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রামের সিনিয়র দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে ফৌজদারি মামলায় (মামলা নং-১৩৪৫/২০২৫; জি.আর. ৮৩/২০২০ কুড়িগ্রাম) জামিন প্রার্থনা করলে আদালত শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।

তাই সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৩৯(২) ধারা অনুযায়ী সরকার তাকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা প্রয়োজন ও সমীচীন মনে করে। এ কারণে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালে তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০১৯ সালের ১৩ মার্চ মধ্যরাতে বাড়িতে হানা দিয়ে ধরে নিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয় জেলা প্রশাসন। ঘরে কোনো তল্লাশি চালানো না হলেও পরে ডিসি অফিসে নেওয়ার পর তারা দাবি করেন, আরিফুলের বাসায় আধা বোতল মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকের পরিবারের দাবি, কুড়িগ্রামের ‍ডিসি মোছা. সুলতানা পারভীনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় তিনি এসব করিয়েছেন।

পরে এই ঘটনায় বিভাগীয় মামলায় শাস্তি হিসেবে সুলতানা পারভীনের ২ বছরের জন্য বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়েছিল। এরপর সেই লঘুদণ্ড বাতিল করে তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আদালতে মামলাও করেছিলেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *