ডায়ালসিলেট ডেস্ক:দীর্ঘ সাত বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় সম্মেলন। শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১১টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের সম্মেলনে কাউন্সিলর-ডেলিগেট ও আমন্ত্রিত অতিথি মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার ব্যক্তি উপস্থিত থাকবেন বলে আশা প্রকাশ করেন সংগঠনটির দফতর সম্পাদক সালেহ মোহাম্মদ টুটুল।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সম্মেলন উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। ইতোমধ্যে মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। কাউন্সিলর-ডেলিগেটদের কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। গঠনতন্ত্রের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। সঙ্গীত পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে একটি চৌকস দল।
এবার এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন। কাসিনো সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সংগঠনটির সভাপতি মোল্লা আবু কাউছারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আর সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথকে সম্মেলন সংক্রান্ত সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের ছাড়াই অনুষ্ঠিত হবে এই সম্মেলন। এ পরিস্থিতিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহকে আহ্বায়ক এবং প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেসবাহুর রহমান সাচ্চুকে সদস্য সচিব করে সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা সম্মেলনের সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে ১৩ বছর পর গত ১১-১২ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করা হয়নি। একসঙ্গে আগামীকাল কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা বলছেন, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, টেন্ডার ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে, এবার তারা কোনও পদ পাবেন না। সৎ, যোগ্য এবং দলের দুঃসময়ে ভূমিকা পালনকারীরাই নেতৃত্ব পাবেন। আর এই প্রক্রিয়ার সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন স্বয়ং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, যিনি সংগঠনটির সাংগঠনিক নেতা।
সূত্র জানায়, এবার যোগ্য নেতৃত্ব খুঁজতে সাংগঠনিক তথ্যের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যও পর্যালোচনা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালের ২৭ জুলাই ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক নেতাদের সমন্বয়ে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

