সোহেল আহমদ :: প্রায় ৩তিন ধরে সারা বাংলাদেশে চলছে কারফিউ। এরই মধ্যে সারাদেশে গণহারে গ্রেফতার করছে পুলিশ। তাদের তালিকায় রয়েছে বিএনপি, জামাত-শিবির ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। প্রতিরাতে গিয়ে নেতাকর্মীদের বাড়িতে হানা দিচ্ছেন সাদাপোশাকদারী সিভিল পুলিশ । অনেককে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে কোথায় কারও জানা নেই।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
সপ্তাহ ৪দিন ধরে নেই ইন্টারনেট চালু ব্যবস্থা, প্রবাসীরা তাদের পরিবার আত্নীয়-স্বজনদের সাথে কোনভাবে যোগাযোগ করতে পারছেন না। এতে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্ক ভয়ভীতি। তারা চিন্তা পরিবারের সদস্যরা কেমন আছেন কিভাবে কাটছে তাদের জীবনযাত্রা সেটা নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন প্রবাসী বাঙ্গালীরা।

তবে, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।দেশে আমদানি-রপ্তানি সবকিছু বন্ধ হওয়ায় জনসাধারণ পড়ছে বিপাকে। অন্যদিকে, রোববার ও সোমবারের পর নির্বাহী আদেশে মঙ্গলবারও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বেড়েছে কারফিউর মেয়াদ কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপনে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কয়েক দফা দাবি জানিয়েছে, তার মধ্যে নিখোঁজদের ফিরিয়ে দেয়া, হয়রানি বন্ধ, মন্ত্রীদের পদত্যাগসহ বেশ কয়েকটি বিষয়।
সহিংসতায় এ পর্যন্ত অন্তত ১৪১ জনের মৃত্যুর খরব পাওয়া গেছে। গত রবিবার ঢাকায় ৫’শো এর বেশি মানুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের দাবি সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান চলছে।
গ্রেফতারের মধ্যে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মী ও জামাতের নেতাকর্মীদের টার্গেট করা হয়েছে এবং প্রত্যেকের নামে একটা লিষ্ট করে পুলিশ গণ গ্রেফতার করছে।
জানা যায়, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েকজনের নামও পুলিশ তালিকাভুক্ত করে তাদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে।
এছাড়া বাংলাদেশে সহিংসতার কারণে ইউরোপ-এশিয়াসহ সারা দেশে প্রবাসী বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকলেই যার যার অবস্থান থেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

সোমবার লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ারে বিএনপি জামায়াতসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করেন। সমাবেশ শেষে তারা লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ার থেকে মিছিল সহকারে শ্লোগান দিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে এসে সমাপ্ত হয়। সেখানে আরো ১ ঘন্টা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সমর্থনে একাত্নতা ঘোষণা করে সরকারের বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দেয়া হয়।
প্রবাসীদের দাবি অনতিবিলম্বে শেখ হাসিনা সরকারকে হটিয়ে নতুন সরকার গঠন করা এবং সহিংসতায় নিহত শিক্ষার্থীদের হত্যার বিচারের জানান।
উল্লেখ্য, টানা চারদিন ধরে বাংলাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে, কবে ফিরবে, কেউ জানাতে পারছে না। এতে দেশবিদেশে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

