প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। একই সঙ্গে চার কমিশনারকেও নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আলাদা দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই নিয়োগ দিয়েছেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
নিয়োগপ্রাপ্ত চার কমিশনার হলেন- সাবেক জেলা ও দায়রা জজ রাশিদা সুলতানা, ব্রি. জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর এবং সাবেক সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

কে এই নতুন সিইসি

নতুন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে। চাকরি জীবনে প্রতিরক্ষাসহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বিচার বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা হাবিবুল আউয়াল আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে সুপার নিউমারারি (স্বল্প সময়ের জন্য) সচিব ছিলেন। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতির ১০ শতাংশ কোটায় তাকে ধর্ম সচিব করা হয়। পরে প্রতিরক্ষা সচিব হিসাবে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া হয়।

২০১৪ সালের ১৮ জুন তার চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়ায় সরকার। ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার কথা ছিল হাবিবুল আউয়ালের। ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি পিআরএল বাতিল করে তাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে এক বছরের চুক্তিতে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০১৬ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে অবসরে যান তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের লক্ষ্যে ১০ জনের নাম সুপারিশের জন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে এর প্রধান করা হয়।

যোগ্য ব্যক্তিদের নাম বাছাই করতে গত ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে তিনটি বৈঠক করে সার্চ কমিটি। এসব বৈঠকে অংশ নেওয়া বিশিষ্টজনরা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের কিছু নাম প্রস্তাব করেন।
এছাড়া সার্চ কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে এবং ব্যক্তি পর্যায়ে সবার কাছে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম চাওয়া হয়। আওয়ামী লীগসহ অনেক রাজনৈতিক দল নাম পাঠায়। অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও নাম পাঠান। তবে বিএনপি এ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়নি।
সার্চ কমিটির কাছে মোট ৩২২ জনের নাম জমা পড়ে। এরপর তারা কয়েকটি বৈঠক করে ওই ৩২২ জন থেকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ১০ জনের এ তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেন সার্চ কমিটির সদস্যরা। ওই ১০ জন থেকে ৫ জনকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করলেন রাষ্ট্রপতি।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠিত হচ্ছে।
গত ২৭ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ জাতীয় সংসদে পাস হয়

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *