আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ভিন সভ্যতার ভিড়ে দেশীয় আদলে অনুষ্ঠিত হলো প্রাণের মেলা, সিডনি বইমেলা। এটি সম্ভব করেছে একুশে একাডেমি অস্ট্রেলিয়া। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ২৫ বছর ধরে এ আয়োজন হয়ে আসছে, পুরোনো ছন্দে এবারের বইমেলা আন্দোলিত করেছে সিডনিবাসী বাংলাদেশিদের।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
রবিবার (৩ মার্চ) অ্যাশফিল্ড পার্কে দেখা মেলে বইয়ের স্বর্গ, একুশের চেতনায় সশরীরে হাজির হন বইপ্রেমীরা। শুরু হয় গত কয়েক বছরের সবচেয়ে বড় ‘প্রভাতফেরি’। স্নিগ্ধ সকালে সাড়াও মেলে বেশ, প্রায় ২৫টি সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক সংগঠন অংশ নেয় এ পর্বে।
মেলায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক। মেলার উদ্বোধন করে তিনি তুলে ধরেন কথার সৌন্দর্য। দিনব্যাপী এ মেলায় বিপুল সংখ্যক সাহিত্যপ্রেমী দর্শনার্থী ও শিশু-কিশোর ভিড় জমান।
সাখাওয়াত নয়নের উপস্থাপনায় মেলায় সিডনি প্রবাসী ১২ জন লেখকের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সেইসঙ্গে এ সাহিত্যিকের সম্পাদনায় ‘মাতৃভাষা’ নামে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়।
মেলায় নতুন বইয়ের গন্ধ নিতে নানা স্টল ঘুরে বেড়ান দর্শনার্থীরা। প্রশান্তিকা বইঘরে দেখা মেলে প্রত্যাশিত ভিড়, লেখক আরিফুর রহমান নিজ হাতে তুলে দেন তার লেখা সাউদার্ন ভ্যালি ওয়ে। সেলফি ও ফটোগ্রাফিতে মুখরিত হয়ে উঠে চারপাশ। সেই সঙ্গে ভাষা আন্দোলনের স্মরণে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি, মঞ্চ নাটক ইত্যাদি।
প্রথমবারের মতো সিডনি বইমেলার প্রতিষ্ঠাতা নেহাল নেয়ামুল বারী ‘ভাষা দিবস আজীবন’ পুরস্কার এবং আনিসুল হক ও শ্রাবন্তী কাজী ‘ভাষা দিবস’ পুরস্কার পেয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দিকীর কাছ থেকে তারা সম্মাননা গ্রহণ করেন। এসময় সিডনির বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল সাখাওয়াত হোসেনসহ স্থানীয় প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বইমেলার আয়োজক একুশে একাডেমি অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি আবদুল মতিন ও তার টিম। পৃষ্ঠপোষকতা করেন স্থানীয় মিডিয়া প্রভাত ফেরি, সম্পাদক শ্রাবন্তী কাজী ও বিশিষ্ট উদ্যোক্তা সুলায়মান আশরাফি দেওয়ান। মেলা আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তাদের সঙ্গ দেন নোমান শামীম। সবমিলিয়ে এক প্রাণোচ্ছল বইমেলার সাক্ষী হন বাংলাদেশিরা।

