সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন অনেকে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটেও প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। এতেও যেন কমছে না বিভিন্ন বাজারে-পাড়া-মহল্লায় মানুষের জনসমাগম। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে সতর্কতা অবলম্বন ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য কিন্তু কেউই তা মানছে না।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!রাস্তাঘাটে বেশীর ভাগই দেখা যায় অযথা ঘুরাফেরা করছে অনেকে। প্রযোজন ছাড়াই পাড়া-মহল্লায় এবং বাজারে শারীরিক দূরত্ব না মেনে হাটাহাটি আর আড্ডায় মেতে উঠছেন সবাই। এদিকে সমগ্র বাংলাদেশকে সংক্রমণের ঝুকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করে অধিদফতর।
বর্তমানে সিলেট রয়েছে হুমকির মুখে। এ পর্যন্ত সিলেটে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ জন এবং মারা গেছেন ২জন। গত ৫ এপ্রিল রাতে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান মৌলভীবাজারের রাজনগর টেংরা ইউনিয়নের আকুয়া গ্রামে এক ব্যক্তি পরে তার শরীরে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পরীক্ষা করা হলে সেখানে ধরা পড়ে তার পজিটিভ।
ওই দিন সন্ধ্যায় আরেকজন সিলেট নগরীর হাউজিং এস্টেট এলাকার সুনামধন্য চিকিৎসক ডা. মঈন আক্রান্ত হন। গত বুধবার ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে তিনি মারা যান।
এদিকে সিলেট বিভাগজুড়ে রয়েছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। রাজধানী ঢাকার নারায়নগঞ্জ থেকে কর্মরত শ্রমিক বিভিন্ন জেলায় পাড়ি জমাচ্ছেন এতে আক্রান্তের সম্ভাবনা বাড়ছে বেশী।
এরমধ্যে গত ১১ এপ্রিল ১জন চালক নারায়ণগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জে করোনাভাইরাসে সনাক্ত হন। এরপর গত ১২ এপ্রিল সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার করোনা আক্রান্ত এক নারী সনাক্ত হন। এর পরদিন সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার আরো ১জন নারী করোনা পজিটিভ সনাক্ত হন।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সিলেটের গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার আরো ২জন করোনায় পজেটিভ ধরা পড়ে। বর্তমানে তাদের সকলকে আইসোলেশনে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ঘর থেকে মানুষ বাইরে বের হলে
করোনা ভাইরাসটি ভবিষ্যতে আরো সিলেটবাসীর জন্য আরো ভয়াবহ হতে পারে।

