সিলেটে এইচআইভি (এইডস) আক্রান্তদের করোনার টিকা নিশ্চিতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে রবিবার (২৭ মার্চ) সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোর ভবনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশার আলো সোসাইটির উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!পিএলএইচআইভি নেটওয়ার্ক এর জাতীয় কমিটির সভাপতি ও আশার আলো সোসাইটর উপপরিচালক মো. আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ও এইচআইভি আক্রন্তদের সেবা কেন্দ্র এআরটি সেন্টারের ফোকাল পার্সন ডা. আবু নঈম মোহাম্মদ।
সভায় জানানো হয় সিলেট বিভাগের এইচআভি আক্রান্তদের মধ্যে একটি অংশ এখনো করোনা প্রতিরোধী টিকা নেননি। এইচআইভি আক্রান্তদের সবাইকে করোনার টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় আনতে সভায় আলোচনা করা হয়। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা টিকার বাইরে থাকা এইচআইভি আক্রান্তদের তালিকা তৈরী করে মোবাইল ফোনে ফলোআপ, প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি পরিদর্শনের মাধ্যমে টিকাগ্রহন নিশ্চিতের উপর জোর দেয়ার পরামর্শ দেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পিএমটিসিটি প্রকল্পের ম্যানেজার মো. মোতাহের হোসেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ভ্যাকসিনেটের সুপারভাইজার তানজিনা ইয়াসমিন রত্মা, এআরটি সেন্টারের ইনচার্জ সুপ্রিয়া রাণী পাল সিনিয়র স্টাফ নার্স সোনিয়া আক্তার ও পিএলএইচআইভি নেটওয়ার্কের প্রতিনিধিরা।
উল্লেখ্য যে, সিলেট বিভাগে মোট সনাক্ত হওয়া এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ২০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪৩১ জন। বাকীদের মধ্যে ৫৫৮ জন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মৌলভী বাজার জেলা সদর হাসপাতালে অবস্থিত এআরটি সেন্টার হতে নিয়মিত ঔষধ সেবন করে যাচ্ছেন। সরকারী অর্থায়ানে এ রোগীদের মধ্যে ঔষধ এবং অন্যান্য সেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি এইচআইভি আক্রান্ত মা হতে শিশুর শরীরে এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধের মাধ্যমে এইচআইভির নতুন সংক্রমণ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ইউনিসেফের সহায়তায় এই দুটি হাপসাতালে পিএমটিসিটি প্রকল্প চলমান। পরবর্তীতে প্রকল্প দুটি সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। মতবিনিময় সভার আর্থিক সহযোগিতায় ছিল এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক

