২০১১ সালে সিলেটে লন্ড্রি ব্যবসায়ী সোহেল আহমদকে (২৪) হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মোগলগাঁও ইউনিয়নের বানাগাঁওরের কাজল মিয়ার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
তবে অপর আসামির ইসলাম উদ্দিন ওরফে ইসলামের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ সোমবার এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজা আল ফারুক ও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এস এম শফিকুল ইসলাম।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ইসলাম উদ্দিনের এক বোনকে বিয়ে করেছিলেন সিলেট নগরের গোটাটিকর এলাকার বাসিন্দা সোহেল আহমদ। ইসলাম এ বিয়ে মেনে নেয়নি। এ ক্ষোভ থেকে ইসলাম তার বন্ধু কাজলকে নিয়ে ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে সোহেলকে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বানাগাঁও এলাকার দেলদুয়ারবন্দ হাওরে নিয়ে যান। সেখানে ইসলাম ও কাজল মিলে সোহেলকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে মরদেহ থেকে মস্তক বিচ্ছিন্ন করেন। মস্তকটি অন্য একটি জায়গায় ফেলে দিয়ে লাশ পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে ফেলেন। পরদিন পুলিশ সোহেলের কাটা মস্তকটি হাওর এলাকা থেকে উদ্ধার করে। এরপর সোহেলের বাবা জয়নাল আবেদীনের করা মামলায় ইসলাম ও কাজলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে দুই আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, ইসলাম তার বোনকে বন্ধু কাজলের কাছে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। এ চাওয়া পূরণ না হওয়ায় দুজন মিলে সোহেলকে হত্যা করেন। এই হত্যা মামলায় ২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল রায় দেন সিলেটের বিশেষ দায়রা জজ ও জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল।
রায়ে চার্জশিটভুক্ত দুজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর সাত আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই আসামি হলেন সিলেটের মোগলগাঁও ইউনিয়নের বানাগাঁওরের কাজল মিয়া ও ইসলাম উদ্দিন ওরফে ইসলাম। পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।

সোমবার উভয়পক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে রায় দেন হাইকোর্ট।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *